প্রাইভেটকারে আপত্তিকর অবস্থায় তরুণ-তরুণী, ধরে ফেললেন গার্ড

প্রাইভেটকারে অনৈতিক কাজের সময় আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছে তরুণ-তরুণী। বৃহস্পতিবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী সংলগ্ন সড়কের ওপর প্রাইভেটকার থামিয়ে অনৈতিক কাজের সময় তাদের হাতেনাতে ধরা হয়। পরে অভিযুক্ত তরুণীকে তার পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা অফিসারকে হুমকি দিয়ে তার কার্যালয় থেকে অভিযুক্ত তরুণকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমান বাবুল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী সংলগ্ন সড়কের ওপর একটি কালো গ্লাসযুক্ত প্রাইভেটকারে অনৈতিক কাজ করছিল ওই তরুণ-তরুণী। এ সময় তাদের আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন। ধরা পড়া আকাশ (২৫) ঢাকার আশুলিয়া থানাস্থ সেনওয়ালিয়ার সুরুজ মিয়ার ছেলে। এ সময় প্রাইভেটকারচালক ও ভুয়া এক পুলিশ কর্মকর্তাকেও ধরা হয়।

তারা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমান বাবুলের আত্মীয় বলে পরিচয় দেয়। সেই সঙ্গে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীনকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয় তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় এনে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদকালে আব্দুর রহমান বাবুল ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সিনিয়র ফিল্ড অফিসার খোকন মিয়া এসে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

এ সময় খোকন মিয়া নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে বলেন, এখানে তো চাকরি করতে হবে। অফিসার সমিতির সাবেক সভাপতির সঙ্গে লড়ে টিকতে পারবি না। পরে তারা আকাশ ও তার দুই সহযোগীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমান বাবুল বলেন, কাউকে ছিনিয়ে নেয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। আটককৃত আকাশ আমার প্রতিবেশী। মেয়ের পরিবারের কাছে যখন মেয়েকে হস্তান্তর করা হয় তখন আমরাও তাদেরকে নিয়ে চলে আসি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, এভাবে অপরাধীদের ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ন্যক্কারজনক। আমি তাদের হুমকিতে কোনো ভয় পাইনি। এর আগেও বাবুলের পরিচয়ে একাধিক অপরাধীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।