আজকাল প্রায় সব খাবারেই ভেজাল মেশানো থাকে। ব্যবসায় অধিক লাভের আশায় দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে ভেজালের কারবার। চাল-ডালে কাঁকর, ফলে রাসায়নিক পদার্থ, দুধে সাবান জল ইত্যাদি নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে বিভিন্ন ভাবে ভেজালের ব্যবহার এখন রোজকার ব্যাপার। আর দাম দিয়ে আমরা কিনে খাচ্ছি ভেজাল মেশানো বিষাক্ত খাবার-দাবার। ফলে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা ধরনের অসুখ-বিসুখ। আসুন দুধ, ঘি বা মাখনে ভেজাল মেশানো আছে কি না, তা পরখ করার পদ্ধতি জেনে নিন।
আরও পড়ুন: মাছ খেলেও হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি! বলছে গবেষণা…
দুধে ভেজাল চেনার উপায়:
দুধ থেকে মাখন তুলে নিলে বা দুধে জল মেশালে দুধের আপেক্ষিক ঘনত্বের পরিবর্তন ঘটে। এটা ল্যাকটোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে খুব সহজেই ধরা পড়ে যায়। যন্ত্রকে ফাঁকি দেয়ার জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা আটা, গুঁড়া দুধ, ময়দা এমনকি চালের গুঁড়োও দুধের সঙ্গে মেশান। এতে দুধের আপেক্ষিক ঘনত্বের খুব বেশি হেরফের হয় না। দুধে এসব ভেজাল মেশানো আছে কি না, তা বোঝার জন্য দু চামচ দুধ একটি কাপে নিন। এতে দুই ফোঁটা টিংচার আয়োডিন মিশিয়ে দিন। দুধের রং হালকা নীল হলে বুঝবেন এতে ভেজাল হিসেবে আটা বা ময়দা মেশানো রয়েছে।
আরও পড়ুন: মুখের দাগ সহজে দূর করার সেরা কয়েকটি ঘরোয়া উপায়
ঘি বা মাখনে ভেজাল চেনার উপায়:
বিশুদ্ধ ঘি বা মাখনে ভেজাল হিসেবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে বনস্পতি বা ডালডা। এক চামচ ঘি বা মাখন গলিয়ে একটি স্বচ্ছ কাচের বয়াম বা বোতলে রাখুন। এতে একই পরিমাণ মিউরিঅ্যাটিক অ্যাসিড ও সামান্য চিনি মেশান। এরপর এর মুখ বন্ধ করে খুব জোরে জোরে ঝাঁকান। কিছুক্ষণ ঝাঁকানোর পর পাত্রটি স্থির অবস্থায় রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর এর নিচে যদি লাল রঙের আস্তরণ পড়ে, তাহলে বুঝবেন এতে ভেজাল মেশানো রয়েছে।