নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলায় মেন্দীপুর ইউনিয়নের নূরপুর-বোয়ালী দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মেন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান লোকমান হেকিমসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এদিকে, ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বোয়ালী বাজার থেকে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোলাম রসুল ও শিক্ষক আবদুল মোনায়েমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মদন থানায় করা মামলার বিবরণে জানা যায়, খালিয়াজুরী উপজেলার নূরপুর বোয়ালী গ্রামের ১৬ বছর বয়সী ওই ছাত্রীর সঙ্গে একই গ্রামের জিমি মিয়ার (২৫) এক বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। গত ২৬ জুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জিমি মিয়া ওই ছাত্রীকে পার্শ্ববর্তী মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী গ্রামে নিয়ে যায়। এরপর তারা ইঞ্জিনচালিত ও পর্দাবেষ্টিত একটি নৌকায় হাওরে ঘুরতে যায়। নৌকায় মেয়েটিকে ধর্ষণ করার পর নিজ গ্রামে রেখে পালিয়ে যায় জিমি মিয়া। মামলায় উল্লেখ করা হয়, জিমিকে সহায়তা করার অভিযোগে মেন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান লোকমান হেকিমসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শওকত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি মামলা দায়েরের কথা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে গত রোববার মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে আটজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে খালিয়াজুরী থানা পুলিশের সহায়তায় দুই আসামিকে আটক করা হয়েছে। তাদের মদন থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি।