অভ্যাস পরিবর্তনেই- জেসিকা জনপ্রিয় পিপল ম্যাগাজিনকে জানিয়েছেন, আমার একদমই ভালো লাগতো না। বিছানা থেকে উঠা আমার জন্য অনেক কষ্ট হয়ে দাড়াত।
আমি বুঝতে পারতাম আমার ওজন কমানো দরকার, আমার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও ছিল। ওজন কমানোর এই উদ্যোগ নিতে নিতে জেসিকার লেগে গিয়েছিল প্রায় একবছর।
এক সময় তার জীবন চলতো ফাস্ট ফুডের উপর। চিকেন নাগেটস, পাস্তা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ছিল তার প্রধান খাবার। তার কাজ ছিল খাওয়া, কাজে যাওয়া, কাজ শেষে বাড়ি ফিরে টিভি দেখতে দেখতে আবার খাওয়া।
২০১৬ সালে জেসিকা প্রথমবারের মতো নিজের ওজন কমানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নিলেন। প্রথম চ্যালেঞ্জই ছিল ডায়েট।
প্রথম প্রথম কষ্ট হলেও তার ফাস্ট ফুড নির্ভর ডায়েট পরিবর্তিত হয়ে সেখানে স্থান দখল করে গাজর, দই, কটেজ চিজ, শাকসবজি আর গ্রিলড চিকেন সালাদ। ধীরে ধীরে তিনি তার খ্যাদ্যাভাস পরিবর্তন করে ফেললেন। কথায় আছে, মানুষ অভ্যাসের দাস।
খাদ্যাভাস পরিবর্তনের সাথে সাথে তিনি প্রতিরাতে হাটার অভ্যাসও শুরু করলেন এবং ইউটিউব ভিডিও দেখে ব্যায়াম করা শুরু করলেন। পরবর্তীতে জেসিকা জিমনেশিয়ামে ভর্তি হন, দৈনিক দুই ঘণ্টা করে তিনি জিমনেশিয়ামে সময় দিতে থাকেন।
জেসিকা ওজন কমানোর এই পুরো সময়টা নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করতে থাকেন। নানা পেশার সর্বস্তরের মানুষ জেসিকার এই অসামান্য পরিশ্রমকে সাধুবাদ জানান।
তিনি যে জিমনেশিয়ামে শরীরচর্চা করছিলেন সেখানকার মানুষ তাকে অনুকরণীয় মনে করতো। তার ওজন কমানোর ব্যাপারটি এতোটাই অনুপ্রেরণা জাগিয়েছিল যে জিমনেশিয়াম কর্তৃপক্ষ তাকে সেখানেই ফ্রন্ট ডেস্কে চাকরি দিয়ে দেয়। জেসিকা এখন একজন সার্টিফায়েড জিম ট্রেইনার হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
একসময় ১৪৫ কেজি ওজনের জেসিকা এখন মাত্র ৬৫ কেজি ওজনের একজন আকর্ষনীয় নারীতে পরিণত হয়েছে। তিনি আশা করেন, তার ওজন কমানোর এই গল্প সারা পৃথিবীর মুটিয়ে যাওয়া মানুষকে ওজন কমাতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। মুটিয়ে গেছে আপনার শরীর? ওজন কমানোর মিশনে ঝাঁপিয়ে পড়ুন আজই।