এই ঘটনাটি ঘটে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার উত্তর দারিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ জুন সকালে।ঐ স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা রেবেকা আক্তার এক শিক্ষার্থীর ক্লাস বাদ রেখে সন্তান রাখতে বাধ্য করেছে ।ছোট ছেলেকে ক্লাস সময়ে কোলে না রাখার অপরাধে শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তারের চুল কেটে নিয়ে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ওই ঘটনায় ফারজানা আক্তারের মা নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে বুধবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই শিক্ষার্থীর মায়ের অভিযোগ পেয়ে নির্বাহী অফিসার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করার নিদের্শ দেন।ওই শিক্ষার্থীর চুল কেটে নেয়ার বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিখা বিশ্বাস ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন।
এলাকাবাসী ও স্কুলশিক্ষার্থীর অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার উত্তর দারিয়াপুর এলাকার মজনু মিয়ার মেয়ে ফারজানা আক্তার ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা রেবেকা আক্তারের ২০-২২ মাসের একটি সন্তান নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে আসে। সে ক্লাস সময়ে বাচ্চাকে কোলে রাখে।অভিযোগ আছে- ফারজানাকে ক্লাস বাদ দিয়ে শিশু বাচ্চাটিকে কোলে রাখতে বাধ্য করেন ওই শিক্ষিকা। বিষয়টি ফারজানা তার অভিভাবকদের জানালে অভিভাবক বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মদকে জানান।
কিন্তু প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মদ কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে নিজের স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা রেবেকা আক্তারের পক্ষ নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলে বকাবাজি করেন। ওই দিন শিক্ষিকা রেবেকা আক্তার শিক্ষার্থী ফারজানাকে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করেন। পরে একপর্যায়ে ওই শিক্ষিকা ক্ষিপ্ত হয়ে একটি কাঁচি দিয়ে মাথার কিছু অংশের একগুচ্ছ চুল কেটে দেন।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা রেবেকা আক্তার জানান, অনেক দিন পর সন্তানকে স্কুলে নিয়ে এসেছি। কিন্তু স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সন্তানকে মাঝে-মধ্যেই স্কুলে নিয়ে আসার অনুরোধ জানান।