ভয় দেখিয়ে লক্ষ্মীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক। তার বিচারের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। লক্ষীপুর সদর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ বছর আগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান মাছিম নগর গ্রামের তোফায়েল আহমদ। ক্লাস নেয়ার পাশাপাশি তিনি শিক্ষার্থীদের আরবী প্রাইভেট পড়ান। এই সুবাদে ধর্মের দোহাই দিয়ে শিক্ষকের কথা মানতে বাধ্য করে ৩০ ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এক ছাত্রী জানায়, হুজুর জোর করতো। তারপর আমরা কাঁদতাম। মুখ চেপে ধরে রাখতো। আমরা বলতাম, বাবা-মাকে বলে দেব। আমাদের বলতো, তোরা পাগল হয়ে যাবি। তোদেরকে জাদু করে পাগল বানিয়ে ফেলব। এসব ঘটনা কাউরে বলবা না।এক অভিভাবক জানান, ছোট মেয়েকে জিজ্ঞেস করেছি, সে বলেছে, হুজুর শরীর ধরেছে। কাউকে বলতে মানা করেছে।
এক স্থানীয় শিক্ষক জানান, ৩০ জনের মতো শিক্ষার্থী একই অভিযোগ এনেছে। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি অবশ্যই শতভাগ সত্য ঘটনা।ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খালেদা ইয়াছমিন পিঙ্কি জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন ছাত্রী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।তোফায়েলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করার অভিযোগ তাঁরা পেয়েছেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শাজাহান আলী বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী।