শ্বেতী রোগ, কারণ ও লক্ষণ- শ্বেতি শব্দটি সাদা থেকে এসেছে। কমবেশি সবাই জানেন এই রোগে শরীরের বিশেষ বিশেষ অংশ সাদা হয়ে যায়।
ত্বকের বর্ণ তৈরী করে এমন কোষগুলো (Melanocyte) যখন নষ্ট হয়ে যায় তখন ত্বক আর বর্নিল থাকতে পারেনা, বর্নহীন ত্বকের এমন একটি রোগেরই নাম শ্বেতীরোগ বা ভিটিলিগো। জাতি-গোত্র-বর্ণ নির্বিশেষে শতকরা ১ ভাগ মানুষের এমন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
কেন হয় শ্বেতী রোগ ?
ত্বক সাদা হয়ে যাওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে। এর মধ্যে শ্বেতি একটা। তবে সব সময় সাদা হয়ে যাওয়ার মানে শ্বেতি নয়। আরো অন্যান্য কারণে হতে পারে।
যেমন : সাধারণ একটা ফাঙ্গাল ইনফেকশন, যাকে সৈদ বলে অনেকে। এর কারণেও সাদা হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া দেখা যায় যাদের এলার্জি আছে, এর থেকে কখনো কখনো গায়ে ছোপ ছোপ হয়ে যায়। সেটিও শ্বেতি নয়। একেও আমরা সহজে চিকিৎসা করতে পারি।
আর শ্বেতি হলো আমাদের দেহে যে রং তৈরি করে মেলালিন, আমাদের রং যে কালো এটা তৈরি করার জন্য শরীরে মেলানোসাইট নামে একটি কোষ আছে, এই কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যায়।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ওই রং কোষগুলোকে চিনতে পারে না। মনে করে সে বাইরের কেউ। তখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাগুলো একে ধ্বংস করে দেয়। তখন ওই জায়গায় রং তৈরি করতে পারে না কোষগুলো। ধীরে ধীরে সাদা হয়ে যায়।
শ্বেতী রোগের চিকিৎসা সময় সাপেক্ষ, পুরোপুরি না-ও সারতে পারে। দেহের লোমশ অংশের চিকিৎসা অনেকটাই সফল হয়। কিন্তু যেসব জায়গায় লোম থাকে না, যেমন আঙুল, ঠোঁট ইত্যাদির চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। অনেক সময় নিজে থেকেই সেরে যেতে পারে।