সন্ত্রাসীদের বোমা হামলা ও ছুরিকাঘাতে আহত যুবলীগ নেতা আরাফাত রহমান লিটন মারা গেছেন। শুক্রবার রাতে যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডস্থ মহিলা অধিদপ্তরের পাশে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় সামনে সন্ত্রাসী হামলায় আহত হওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, যুবলীগ নেতা লিটন ও তার সহযোগী মিলন রাত ১০টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বসেছিলেন। এসময় সন্ত্রাসীরা এসে কয়েকটি বোমা নিক্ষেপ করে ও লিটনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। বোমায় আহত হন পাশে থাকা মিলনও। স্থানীয়রা তাদের দুজনকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেন। সারা শরীরে ছুরিকাঘাত ও বোমার স্পিন্টার বিদ্ধ লিটনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। ঢাকায় নেয়ার পথে শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আরাফাত রহমান লিটন শহর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকার আব্দুল মুন্না মনুর ছেলে এবং আহত যুবলীগ কর্মী ফজলুল করিম মিলন একই এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে। তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত আবুল বাশার মিয়া জানান, বোমা হামলার ঘটনায় কারা জড়িত তা পুলিশ উদঘাটনের চেষ্টা করছে।