মানুষ যে কত নিষ্ঠুর এই ঘটনাটি তার বাস্তব প্রমাণ। বান্দরবানের লামায় ম্যাহ্লাউ মার্মা (১৯) নামে এক কিশোরীকে নিজ বাড়িতে ধর্ষণের পর হত্যার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। মেয়েটি বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের অংহ্লারী উক্যাচিং কারবারী পাড়ার ক্রা হ্লা অং মার্মার মেয়ে।রোববার (১৭ জুন) সকাল ৭টার দিকে মেয়েকে জমিতে কাজ করার জন্য ডাকতে গেলে সে তার রুমে মৃত পড়ে আছে দেখে আশপাশের লোকজন ও প্রশাসনকে খবর দেয় মেয়ের বাবা।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, মেয়ের বাবা ক্রা হ্লা অং মার্মা গতরাতে (শনিবার দিবাগত রাত) বিশ্বকাপ খেলা দেখে অনেক রাতে বাড়িতে ফিরেন। বাড়িতে মেয়েটি একা ছিল। তার মা মামুই মার্মানী ছোট একমাত্র ছেলে জেন বাবু মার্মা (১১) কে নিয়ে খাগড়াছড়ি আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছে। নিহত ম্যাহ্লাউ মার্মারা ৩ বোন ১ ভাই। বড় দুই বোনের বিবাহ হয়েছে এবং সে লামা মাতামুহুরী ডিগ্রী কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
নিহতের বাবা ক্রা হ্লা অং মার্মা বলেন, রোববার সকালে জমির কাজ করতে মেয়েকে ঘুম থেকে ডাকতে গেলে দেখি সে মরে পরে আছে। রাতে কেউ বা কারা তাকে খুন করেছে। আমি দ্রুত বিষয়টি সবাইকে জানাই। আমার ঘরের দক্ষিণ পাশের একটি জানালা ভাঙ্গা রয়েছে। মেয়ের গলার ১টি চেইন, কানের ১ জোড়া দুল, হাতের ২টি আংটি, ১টি স্কিনটার্চ মোবাইল ও শো কেইচের ড্রয়ার হতে সামান্য টাকাও নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহতের ফুফু মাধকে মার্মানী বলেন, মেয়ের গায়ের কাপড় খোলা ছিল এবং তার শরীরে ধর্ষণের আলামত রয়েছে। আমরা ধারণা করছি ধর্ষণের পরে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে মারা হয়েছে। তার গলায় ছোপ ছোপ কালো দাগ আছে।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, আমি সকালে নিহতের সংবাদ পেয়ে বিষয়টি লামা থানাকে অবহিত করি।
খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, ‘খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ সদস্য নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছায়। লাশের প্রাথমিক সুরহাতাল রিপোর্ট করা হচ্ছে। লাশটির ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।’অপরদিকে পার্শ্ববর্তী ইয়াংছা আর্মি ক্যাম্পের সেনা সদস্যের একটি টিম সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।