চাঁদপুরে বন্দুকযুদ্ধে ৮ মামলার আসামি নিহত

বর্তমান সরকার সমাজ থেক মাদক নিমূলের লক্ষে সারাদেশে মাদকের বিরুদ্দে কঠোর অভিযান চালাচ্ছে ।এতে সারাদেশের প্রধান ইয়াবাব্যাবসায়ীদের চিহুত করে এই অভিযান চালানো হচ্ছে ।অভিযানের সময় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশের বন্দুক যুদ্দ হয়ে থাকে এতে মারা যাচ্ছে অপরাধীরা ।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জাকির ফরাজী (৪০) নামে আট মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন।পুলিশের দাবি, নিহত জাকির ডাকাত দলের সর্দার। তার বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় মাদক ও ডাকাতির আটটি মামলা রয়েছে। এ সময় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার কালচোঁ ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।নিহত জাকির ফরাজী একই উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়নের স্বর্ণা গ্রামের মৃত আবদুল লতিফের ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পাইপগান, ব্যবহৃত চারটি গুলি, বড় ও ছোট সাইজের চারটি ছুরি, একটি চাপাতি ও একটি মাটি খননকাজে ব্যবহৃত শাবল উদ্ধার করে।

হাজীগঞ্জ থানার ওসি মো. জাবেদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত আড়াইটার দিকে ওই গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান জুনাব আলীর বাগানবাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নেয় একটি ডাকাত দল। ঘটনাস্থলে টহল পুলিশ গেলে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির একপর্যায়ে অন্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

পরে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে ওই স্থানে গুলিবিদ্ধ জাকিরকে পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক মো. আজাদ জাকিরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জাকিরের বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় মাদক ও ডাকাতির আটটি মামলা রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

এ ঘটনায় আহত হন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশ সদস্য-সিদ্দিকুর রহমান, মামুন মিয়া, কামরুল ইসলাম ও সাখাওয়াত হোসেন। তারা বর্তমানে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।