বর্তমান সময়ে একটি আতঙ্কের নাম ধর্ষণ। যার কবল থেকে শিশু থেকে বৃদ্ধ মহিলা কেউ রেহাই পায় না। দেশে বিদেশে প্রতিনিয়তই ঘটছে এই নেক্কারজনক কাজ। এমনকি কোন কিছুকেই ভয় করছে না এই অপরাধীরা । এবার এমন এক ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন কয়েক যুবক।জানা গেছে
খুলনায় ৫ম শ্রেনির ছাত্রীকে (১২) ধর্ষনের অভিযোগে তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভাত দেখানোর কথা বলে ঘরে আটকে কিশোরীকে ধর্ষন করে ভাড়াটিয়ারা।গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন, মো. আজিজ শেখের ছেলে মো. আবির শেখ (১৫), মৃত মকবুল শেখের ছেলে টুটুল শেখ (২৮) ও আজিজ শেখের ছেলে মো. রাজু শেখ (২০)।
পরিবার সূত্রে জানাযায়,কয়েক মাস আগে নগরীর সোনাডাঙ্গা মেইন রোডে রশিদ সরদারের ভাড়াটিয়া আবির রাত ৮টার দিকে তাকে ভাত দেখানোর জন্য ঘরে ডাকে। ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তার মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে। আর টুটুল ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। এরপর তারা তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ সব করার সময় ধর্ষিতা ছাত্রী বলে, ‘আমি আপনাদের ফুফা বলে ডাকি, আমি আপনাদের মা’র মতো আমার সঙ্গে এসব খারাপ কাজ করেন না।’ কিন্তু মেয়েটির আকুতিতে তাদের মন গলেনি।
পরে টুটুল ও আবির ধর্ষণের চিত্র মোবাইলফোনে ভিডিও ধারণ করেন। ওই ভিডিওটি রাজু নিয়ে বলে, ‘তুই (মাদরাসা ছাত্রী) ওদের সঙ্গে যা করেছিস সব ভিডিও আমার কাছে আছে। এখন আমার সঙ্গে ওইসব করতে হবে, না করলে সবাইকে বলে দেবো ও ইন্টারেনেটে তোর ভিডিওটি ছেড়ে দেবো।’
বিষয়টি ভয়ে ভয়ে ধর্ষকদের বউ ও প্রেমিকাকে জানিয়েছিল কিশোরী। তারা সাহায্য তো দূরের কথা উল্টো ভয় দেখাত তরুণীকে। এর পরই বিষয়টি প্রকাশ পেলে কিশোরী আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় আগুন দিয়ে।
বর্তমানে মেয়েটি খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনার বিষয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) বায়জিদ আকন জানান, ধর্ষিতার পিতা মো. আল আমিন সরদার বাদী হয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণকারীদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।তিনি এখন কারাগারে রয়েছে।অপরাধী যেই হোক না কেন বিন্দু মাএ ছাড় পাবে না।