আত্মহত্যা বা আত্মহনন হচ্ছে একজন নর কিংবা নারী কর্তৃক ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের জীবন বিসর্জন দেয়া বা স্বেচ্ছায় নিজের প্রাণনাশের প্রক্রিয়াবিশেষ। ল্যাটিন ভাষায় সুই সেইডেয়ার থেকে আত্মহত্যা শব্দটি এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে নিজেকে হত্যা করা।
যখন কেউ আত্মহত্যা করেন, তখন জনগণ এ প্রক্রিয়াকে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। ডাক্তার বা চিকিৎসকগণ আত্মহত্যার চেষ্টা করাকে মানসিক অবসাদজনিত গুরুতর উপসর্গ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন।
ইতোমধ্যেই বিশ্বের অনেক দেশেই আত্মহত্যার প্রচেষ্টাকে এক ধরনের অপরাধরূপে ঘোষণা করা হয়েছে। অনেক ধর্মেই আত্মহত্যাকে পাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
যিনি নিজেই নিজের জীবন প্রাণ বিনাশ করেন, তিনি – আত্মঘাতক, আত্মঘাতী বা আত্মঘাতিকা, আত্মঘাতিনীরূপে সমাজে পরিচিত হন।
কানাডার রয়্যাল অটোয়া হাসপাতালের গবেষকরা দেখেছেন, নিউরোট্রান্সমিটার রিসেপটর জিনের বিভাজনে আত্মহত্যার প্রবণতা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এই রিসেপটরের নাম ৫-এইচটি ২ এ। এটা মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদান ‘সেরোটোনিন’ থেকে সংকেত বহন করে। মেন’স হেলথ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
আসুন জেনে নেই পৃথিবীর যে ১০ দেশে আত্মহত্যা সবচেয়ে বেশি ।
গিয়ানা
প্রতি ১ লক্ষ নাগরিকে আত্মহত্যার ঘটনা ৪৪.২ শতাংশ। তথ্যসূত্র: ওয়র্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন।
দক্ষিণ কোরিয়া
প্রতি ১ লক্ষ নাগরিকে আত্মহত্যার ঘটনা ২৮.৯ শতাংশ। তথ্যসূত্র: ওয়র্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন।
শ্রীলঙ্কা
প্রতি ১ লক্ষ নাগরিকে আত্মহত্যার ঘটনা ২৮.৮ শতাংশ। তথ্যসূত্র: ওয়র্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন।
লিথুয়ানিয়া
প্রতি ১ লক্ষ নাগরিকে আত্মহত্যার ঘটনা ২৮.২ শতাংশ। তথ্যসূত্র: ওয়র্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন।
সুরিনাম
প্রতি ১ লক্ষ নাগরিকে আত্মহত্যার ঘটনা ২৭.৮ শতাংশ। তথ্যসূত্র: ওয়র্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন।
মোজাম্বিক
প্রতি ১ লক্ষ নাগরিকে আত্মহত্যার ঘটনা ২৭.৪ শতাংশ। তথ্যসূত্র: ওয়র্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন।
নেপাল
প্রতি ১ লক্ষ নাগরিকে আত্মহত্যার ঘটনা ২৪.৯ শতাংশ। তথ্যসূত্র: ওয়র্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন।
তানজানিয়া
প্রতি ১ লক্ষ নাগরিকে আত্মহত্যার ঘটনা ২৪.৯ শতাংশ। তথ্যসূত্র: ওয়র্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন।
কাজাখস্থান
প্রতি ১ লক্ষ নাগরিকে আত্মহত্যার ঘটনা ২৩.৮ শতাংশ। তথ্যসূত্র: ওয়র্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন।
বুরুন্ডি
প্রতি ১ লক্ষ নাগরিকে আত্মহত্যার ঘটনা ২৩.১ শতাংশ। তথ্যসূত্র: ওয়র্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন।
সূত্র: যুগান্তর