কিডনি আমাদের শরীর থেকে প্রস্রাবের সঙ্গে বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন করে। কখনো লবনের সঙ্গে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ মিশে কিডনিতে একধরনের কঠিন পদার্থের জন্ম দেয়, যাকে আমরা কিডনির পাথর বলি। এই পাথর আকারে একটি ছোট লবণের দানা কিংবা কখনো কখনো পিংপং বল এর মত বড় হতে পারে। আমরা সহজে এই পাথরের উপস্থিতি বুঝতে পারি না যতক্ষণ না এটি আমাদের মূত্রনালির গায়ে ধাক্কা দেয় এবং একে সংকীর্ণ করার ফলে ব্যথার উদ্রেগ করে।
তলপেটে ব্যথা, প্রস্রাবে কষ্ট ইত্যাদি কিডনিতে পাথর হওয়ার উপসর্গ। শরীরে পানি ও খাবারের অভাব ও বংশগত কারণে এই রোগ হতে পারে। এটি থেকে বাঁচতে জেনে নিন কী খাবেন আর কী খাবেন না।
.দিনে রোজ ৮-১০ গ্লাস করে পানি খাওয়া খুব প্রয়োজন। এতে আপনার কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।
.খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিন। কারণ সোডিয়াম জাতীয় খাবার প্রস্রাবে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ বাড়ায়। যার ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
.প্রতিদিনই অতিরিক্ত দুধ খাওয়া কিডনির জন্য ভাল নয়। দুধের অতিরিক্ত ক্যালশিয়ামের ফলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার সডম্ভাবনা বেড়ে যায়।
.স্ট্রবেরি, চা, বাদাম ইত্যাদিতে অক্স্যালিক অ্যাসিড থাকে। এই অক্স্যালিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
.ভিটামিন সি শরীরে গেলে তা অক্স্যালিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। তাই ভিটামিন সি জাতীয় খাবার অর্থাৎ কমলা, লেবু ইত্যাদি খাওয়া কমিয়ে দিন।
.যারা এই রোগে আক্রান্ত বা যাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাদের অবশ্যই মিষ্টি খাওয়া কমাতে হবে। বিশেষ করে সাদা চিনি শরীরের জন্য খুবই খারাপ।
.মাছ, ডিম মাংসের মধ্যে থাকে পিউরাইন। শরীরে গিয়ে এই পিউরাইন ইউরিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। অতএব এই খাবার অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়।
.চাল ও গমের খাবার আপনার জন্য কিডনির জন্য ভাল। কারণ এগুলো প্রস্রাবে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
.চকোলেট, আইসক্রিম ইত্যাদিতে দুধ ও চিনি দুটোই থাকে। আর তাই এই খাবারগুলো যত কম খেতে পারেন।