বিশেষজ্ঞরা বলেন, রক্তদানের ফলে রক্তদাতার শারীরিক কোনো ক্ষতি হয় না। রক্তের লোহিত কণিকার আয়ু ১২০ দিন। অর্থাৎ আপনি রক্ত দিন বা না দিন ১২০ দিন পর লোহিত কণিকা আপনা আপনিই মরে যায়। সেখানে জায়গা করে নেয় নতুন লোহিত কণিকা। রক্তের আর উপাদানগুলোর আয়ুষ্কাল আরও কম। সুস্থ, সবল, নিরোগ একজন মানুষ প্রতি চার মাস অন্তর রক্ত দিতে পারেন।
রক্ত দেয়ার আগে যে বিষয়গুলো জেনে নেয়া প্রয়োজন-
শারীরিক সুস্থতা
রক্ত দেয়ার প্রথম শর্ত হল রক্তদাতাকে অবশ্যই শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। কোনো ব্যক্তি যদি সুস্থ না থাকেন তিনি রক্ত দিতে পারবেন না।
বয়স ১৮
রক্তদাতার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে আঠারো বয়সের নিচে কেউ রক্ত দিতে পারবেন না। এছাড়া ওজন হতে হবে কমপক্ষে ১১০ পাউন্ড।
নিম্ন রক্তচাপ
যাদের নিম্নরক্ত চাপের সমস্যা রয়েছে তারা রক্তদান করতে পারবেন না। রক্তদাতার রক্তচাপের দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। খুব বেশি বা খুব কম কোনটিই রক্তদানের ক্ষেত্রে সহায়ক নয়।
অ্যান্টিবায়োটিক সেবন
কোনো রোগের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সেবনরত অবস্থায় থাকলে সেক্ষেত্রে রক্তদান করা উচিত নয়। অ্যান্টিবায়োটিক সেবনকারী রোগী রক্তদান করলে তিনি শারীরিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
পিরিয়ড ও গর্ভাবস্থা
মাসিক চলাকালীন সময়ে কোনো নারী রক্তদান করতে পারবেন না। কারণ এ সময় শরীর থেকে রক্ত প্রবাহিত হয় শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় রক্তদান করতে পারবেন না।
সড়ক দুর্ঘটনা
রক্তদানের কাছাকাছি সময়ে কোনও বড় দুর্ঘটনা বা অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলে রক্তদান না করা বাঞ্ছনীয়। কারণ এ সময় আপনি শরীরিকভাবে রক্ত দেয়ার জন্য সক্ষম নন।
রক্তের হিমোগ্লোবিন
রক্তের হিমোগ্লোবিন ১১-এর নিচে হলে রক্ত দেওয়া ঠিক নয়। এতে করে হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, ক্লান্ত লাগা, চোখে ঝাঁপসা দেখা, মাথা ঘোরাসহ অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন।
এছাড়াও খেয়াল রাখতে হবে যে, এক ব্যাগ রক্তদানের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়া দরকার। রক্তদানের পর দুই গ্লাস পানি বা জুস খেলে রক্তের জলীয় অংশটুকু পূরণ হয়ে যায়। এরপর পর্যাপ্ত পানি ও জুস পান করতে হবে, সেই সঙ্গে ৮ ঘণ্টা ঘুম। খাবারে কলিজা, বিভিন্ন ধরনের কচু, ডিম, দুধ রাখতে হবে।