বর্তমান সময়ে একটি আতঙ্কের নাম ধর্ষণ। যার কবল থেকে শিশু থেকে বৃদ্ধ মহিলা কেউ রেহাই পায় না। দেশে বিদেশে প্রতিনিয়তই ঘটছে এই নেক্কারজনক কাজ। এমনকি কোন কিছুকেই ভয় করছে না এই অপরাধীরা বরং ক্রমেই তা বেড়ে চলেছে। এবার এমন এক ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিলেন মামা ভাগনিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করলো। জানা গেছে
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার দশমীপাড়ায় মামার হাতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১০ জুন) দুপুর ১২টার দিকে স্কুলছাত্রীটির নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মামা পলাতক রয়েছে।
রবিবার রাতে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। ধর্ষকের নাম অয়ন। তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উজেলার দশমীপাড়ায়। সে সেখানকার বাসস্ট্যান্ডে ভাজা পুরির ব্যবসা করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্বামী পরিত্যক্তা মুদি দোকানি সোনালী খাতুনের মেয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী তাবাসসুম (ছদ্মনাম) রবিবার দুপুরে গোসল শেষে ঘরে গিয়ে জামা পড়ছিলো। এ সময় সোনালী খাতুনের আপন চাচাতো ভাই অয়ন ওই ঘরে শুয়ে ছিল। মা না থাকার সুযোগ নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে অয়ন।
পরে রক্তক্ষরণ শুরু হলে ভয় পেয়ে মাকে ঘটনাটি খুলে বলে মেয়েটি। পরে রাতের দিকে স্কুলছাত্রীটির মা সোনালী খাতুন বাদী হয়ে অয়নের নামে একটি মামলা করেন।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) জিএম এমদাদুল হক বলেন, মামলা নেয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: সোনিয়া আহমেদ তাৎক্ষণিক স্পষ্ট করে কিছু বলতে পরেননি। তিনি বলেন, ‘আমি একটি শিশুকে ভর্তি করিয়েছি তবে কোনো পরীক্ষা এখনো করানো হয়নি। এটা ধর্ষণ কি না পরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব নয়।’
‘আজ সোমবার (১১ জুন) মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হবে’ বলে জানান এই চিকিৎসক।
এ ব্যপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই উত্তম কুমার ভট্রাচার্য্য বলেন,ধর্ষণের অভিযুক্ত অয়নকে কেউ যদি ধরিয়ে দিতে পারে অথবা তার সঠিক অবস্থান জানাতে পারে তাহলে তাকে দুই হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।পুলিশ অভিযান অব্যাহত রাখছে আসা করছি খুব দ্রুত লম্পট অয়নকে গ্রেফতার কেরতে পরবো।