প্রাইভেটকারে তুলে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা, পুরো ঘটনাটি দেখুন ভিডিওতে!

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এক তরুণীকে জোর করে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টার সময় এক ধনীর দুলালকে আটক করে গণপিটুনী দিয়েছে জনতা। একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে চালক পালিয়ে গেলেও ধর্ষক যুবককে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

জানা যায়, আটক যুবকের নাম মাহমুদুল হক রনি। তিনি বেসরকারি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাবেক ছাত্র। তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। তার জিমের ব্যবসা রয়েছে বলে জানা গেছে।

শনিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কলেজগেট এ ঘটনা ঘটে। পরে মোবাইলে ধারণ করা ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
অভিযুক্তের ব্যবহৃত (ঢাকা মেট্রো-গ ২৯৫৪১৪) প্রাইভেটকারটি জব্দ করে শেরে বাংলা থানায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শেরে বাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল জানান, মাহমুদুল হক রনির বয়স ৩২। গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তিনি ঢাকায় ধানমন্ডি-১৫ নম্বরের মিতালী রোডের একটি বাড়িতে থাকেন। বর্তমানে ওসি (জি জি বিশ্বাস) স্যারের রুমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, রনির এই কুকর্মের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন রাফি আহমেদ নামে এক ব্যক্তি।

ভিডিওসহ দেয়া এক পোস্টে রাফি আহমেদ লেখেন, “আজ অফিস থেকে ফেরার পথে মোহাম্মদপুর, কলেজগেট সিগন্যালে ঠিক আমার সামনের গাড়িটাতে লক্ষ্য করে দেখি ভেতরে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে ধস্তাধস্তি করছে এবং গাড়ির ড্রাইভারের গাড়ি চালানোর ভঙ্গিমা দেখে মনে হচ্ছিল যে, সে গাড়িটা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে দুর্ভাগ্য তাদের, রাস্তায় তীব্র জ্যাম থাকায় গাড়িটি বেশি দূর যেতে পারেনি। এমতাবস্তায় আমি আমার গাড়ি থেকে নেমে সামনে যেতে যেতে দেখি আরও কিছু লোক গাড়িটির দিকে লক্ষ্য করে এগোচ্ছে। তখনো ভাবতে পারিনি এতটা নিচ ও নিকৃষ্ট ঘটনার চাক্ষুস প্রমাণ হতে যাচ্ছি।

আমি গাড়িটির কাছে যেতেই দেখি ছেলেটি মেয়েটিকে ধর্ষণ করচ্ছে। গাড়ির দরজা খুলে প্রথমে আমরা মেয়েটিকে বাইরে বের করে নিয়ে আসি, পরে অপর পাশের দরজা খুলতেই দেখি অতিপরিচিত সেই ছেলেটি অর্থাৎ বড়লোক বাবার বখে যাওয়া নষ্ট সন্তান। ছেলেটিকে বাইরে বের করতে গিয়ে সহ্য করতে হয়েছে বাজে মদের গন্ধ। আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না। অতঃপর বসিয়ে দিলাম ওই জানোয়ারের কানের নিচে আমার বাম হাতের পাঁচ আঙুলের চিহ্ন। এর পর ক্ষুব্ধ জনতা চিলের মতো করে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে তাদের বাকি দায়িত্ব পালন করল।

পরে মেয়েটির কাছ থেকে জানতে পারলাম, ওই নর-পিচাশটা মেয়েটিকে রাস্তা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে এসেছে।”

রাফি আহমেদের ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর অনেকেই অভিযুক্ত হিসেবে রনি হককে চিহ্নিত করেন। তারা রনির ফেসবুক আইডিও শেয়ার করে তার বিচার দাবি করেছেন।