শ্বেতী রোগ একসময় ‘সাদা কুষ্ঠ’ নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, কুষ্ঠ রোগের সাথে শ্বেতীর কোনো সম্পর্ক নেই। এটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যযুক্ত এবং নিরাময়যোগ্য একটি রোগ। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই রোগে আক্রান্ত লোকজন মারাত্মক মানসিক-সামাজিক সমস্যায় ভোগে। এমনকি পারিবারিক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও দাম্পত্য জীবনে ব্যাঘাত সৃষ্টির ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়
শ্বেতী রোগ পশ্চিমা দেশগুলোতে সুনির্দিষ্ট জাতীয় নীতিমালা ও পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধার মাধ্যমে এই সঙ্কট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। এসব দেশে শ্বেতী রোগের আধুনিক চিকিৎসার পাশাপাশি রয়েছে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা। কিন্তু আমাদের দেশে শ্বেতী রোগের ডায়াগনোসিস ও ব্যবস্থাপনায় একটি মারাত্মক বিশৃঙ্খলাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে শ্বেতীর চিকিৎসা কয়েকভাবেই করা হয়ে থাকে এবং এগুলো হলো-
ক) স্বপ্নপ্রাপ্ত চিকিৎসা : আমাদের দেশের বেশির ভাগ রোগীই এই চিকিৎসা গ্রহণে আগ্রহী। এ ব্যবস্থায় বিভিন্ন গাছ-গাছড়ার উপাদানে তৈরি ওষুধ বা বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর ফলে অবশ্য গায়ে ফোস্কা পড়া, আলসারসহ নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এমনকি কখনো কখনো শ্বেতীর স্থানটি পর্দা (স্কোর) পড়ে আরো বেশি আকার ধারণ করে।
খ) কবিরাজি চিকিৎসা : আমাদের দেশে এই চিকিৎসাপদ্ধতি শ্বেতী রোগের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। বিভিন্ন ধরনের খাবার ও গায়ে লাগানো হারবাল ওষুধ এই চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই চিকিৎসায় সাফল্য সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না এবং প্রায়ই হতাশাব্যঞ্জক ফলাফল দেখা যায়।
গ) হোমিও চিকিৎসা : খুব সস্তা বা স্বল্প ব্যয়ে এই চিকিৎসাকে অত্যন্ত কার্যকর হিসেবে দাবি করা হলেও বাস্তবে এ ক্ষেত্রে সাফল্য এখনো ধারাবাহিকতাহীন।
ঘ) আধুনিক চিকিৎসা : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ কোনো একক বা একাধিক ওষুধের সমন্বয়ে চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও ফলাফল ধারাবাহিকতাহীন এবং ব্যর্থতার ভাগই বেশি। ফলে এই রোগ থেকে নিরাময়ের ব্যাপারে রোগীরা চূড়ান্তভাবে হতাশ হয়ে পড়েন। বর্তমানে চিকিৎসক, রোগী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে এমন ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, শ্বেতী রোগ নিরাময়যোগ্য কোনো রোগ নয়।
কিন্তু বর্তমানে আমরা এই রোগের চিকিৎসায় ভালো দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।
শ্বেতী রোগের সংজ্ঞা :
একজন মানুষের জন্মের পর কোনো জ্ঞাত কারণ ছাড়াই তার শরীরের বিভিন্ন স্থানের চামড়া সাদা হয়ে যাওয়াকেই শ্বেতী রোগ বলা হয়। শ্বেতী রোগের সাথে লিউকোডামার পার্থক্য রয়েছে। কারণ লিউকোডার্মার চিকিৎসা পর্যায়ে এটি শতকরা একশ ভাগ নিরাময়যোগ্য। এখানে উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, কারো শরীরের কোনো অংশ পুড়ে গেলে ঘা শুকানোর এক পর্যায়ে স্থানটি সাদা হয়ে যায়। এটাকে বলা হয় লিউকোডার্মা যা খুব সহজে নিরাময়যোগ্য। এই রোগের কারণ জানা থাকায় সহজেই এর চিকিৎসা করা যায়।
শ্বেতী রোগের কারণ :
শ্বেতী রোগের প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হয়ে থাকে যে, একাধিক কারণে এই রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে বংশগত প্রবণতাও এ রোগের সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে বলে ধারণা করা হয়।
বিভিন্ন ধরনের শ্বেতী :
১. ফোকাল শ্বেতী : এ ধরনের শ্বেতী রোগের ক্ষেত্রে সাধারণত শরীরের এক বা দুটি স্থানের চামড়া সাদা হয়ে যায়। মোট শ্বেতী রোগীর মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ এ ধরনের রোগী পাওয়া যায়। এ ধরনের রোগীর ২৫ শতাংশের ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, রোগটি আপনাআপনিই সেরে যায়। এ ধরনের শ্বেতীর চিকিৎসার ফল খুবই ভালো। আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে এ ধরনের রোগীর ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রেই ইতিবাচক ফল পাওয়া যায় এবং ৬০ ভাগ রোগীই সম্পূর্ণ নিরাময় লাভ করে। এমনকি আমাদের দেশীয় একাধিক চিকিৎসা পদ্ধতি সমন্বয়ের মাধ্যমে এই সংখ্যা ৮০ ভাগ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। সম্পূর্ণ নিরাময়ের জন্য কয়েক মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। স্কিন গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমেও এর চিকিৎসা করা যেতে পারে।
২. সেগমেন্টাল শ্বেতী : সাধারণত : এ ধরনের শ্বেতী শরীরের একটি অংশে দেখা যায়। আমাদের দেশে মোট শ্বেতী রোগীর মধ্যে ৩ শতাংশ এই শ্রেণীর রোগী পাওয়া যায়। প্রকৃতিগতভাবে এটি স্থিতিশীল কিন্তু আপনাআপনিই সেরে যাওয়ার কোনো প্রবণতা এ ধরনের শ্বেতী রোগের মধ্যে দেখা যায় না। আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে এ ধরনের রোগীর ৬৫ শতাংশের মধ্যে ইতিবাচক ফল পাওয়া যায় এবং রোগ নিরাময়ের হার ৪০ ভাগ। আমাদের দেশীয় বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি সমন্বয়ের মাধ্যমে এ ধরনের শ্বেতী রোগের নিরাময়ের হার ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। রোগ নিরাময়ে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। স্কিন গ্লাফটিংয়ের জন্য এ ধরনের রোগী বিশেষ উপযুক্ত।
৩. এক্রোফেসিয়াল শ্বেতী : এ ধরনের শ্বেতী রোগীর হাত-পায়ের উপরে নিচে দু’দিকে, আঙ্গুলের ডগা, কব্জি, কনুই, অ্যাংকেল, হাঁটু, ঠোঁট, চোখের চার পাশে, মুখ ও যৌনাঙ্গে সাদা দাগের সৃষ্টি হয়। মোট শ্বেতী রোগীর মধ্যে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত এ ধরনের রোগী দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবে এটি স্থিতিশীল ধরনের হলেও অনেক সময় অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে এটা শরীরের ব্যাপক অংশে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের চিকিৎসায় এ ধরনের রোগীর প্রতি ওষুধ প্রয়োগের পর কাক্সিক্ষত ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায় খুবই ধীরে। এই হার ৫০ শতাংশ এবং রোগ নিরাময়ের হার মাত্র ৩০ শতাংশ। তবে বিরাজমান বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি সমন্বিতভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে নিরাময়ের হার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। এই শ্রেণীর শ্বেতী নিরাময়ে কয়েক বছর চিকিৎসা লেগে যেতে পারে। অবে অনেক ক্ষেত্রে শরীরের অল্প কিছু স্থানে এটি স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে বিধায় স্কিন গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমেও এ ধরনের রোগীর চিকিৎসা করা যায়। তবে এটা করতে হবে অত্যন্ত দক্ষ সার্জনের মাধ্যমে।
৪. ভালগারিস শ্বেতী : এ ধরনের শ্বেতীতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, বুক, পেট, পিঠ, ঘাড়, মাথা ইত্যাদি স্থানে ব্যাপকভাবে রোগ ছড়িয়ে পড়ে এবং এটা অস্থিতিশীল প্রকৃতির। কোনো রকম চিকিৎসা ছাড়াই রোগের উন্নতি বা অবনতি ঘটতে পারে। শ্বেতী রোগে আক্রান্ত মোট রোগীর ৬০ শতাংশই এ ধরনের রোগী। আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে এ ধরনের রোগীর ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রেই ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায় এবং রোগ নিরাময়ের হার ৫০ শতাংশ। তবে আমাদের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির সমন্বয়ে নিরাময়ের হার ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। রোগ নিরাময়ে কয়েক বছর সময় লাগে। এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে স্কিন গ্রাফটিং প্রযোজ্য নয়।
৫. ইউনিভার্সালিজ শ্বেতী : এ ধরনের শ্বেতীতে আক্রান্তদের সাড়া শরীর (মাথা থেকে পা পর্যন্ত) এমনকি শরীরের লোম পর্যন্ত সাদা হয়ে যায়। তবে এ ধরনের রোগীর সংখ্যা খুবই কম। যা মোট শ্বেতী রোগীর ২ শতাংশের বেশি হবে না। এটা স্থিতিশীল প্রকৃতির হলেও কখনো কখনো রোগীর মুখমণ্ডল, অঙ্গ-প্রতঙ্গ, কনুই ও হাঁটুতে রোগের কিছুটা ভালো হওয়ার আভাস দেখা যায়। এ ধরনের রোগীরা থাইরয়েড গ্রন্থির রোগ, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা আজ পর্যন্ত এ ধরনের শ্বেতী রোগের নিরাময়ের কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে পারেননি।
আধুনিক চিকিৎসা :
এ কথা অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে যে, এ রোগের চিকিৎসা কোনো একক প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি সর্বজনীনভাবে কার্যকর নয়। চিকিৎসায় সাফল্য লাভের জন্য একাধিকক্রমে এক বা একাধিক পদ্ধতির প্রয়োগ প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেদিক থেকে বলতে গেলে আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতি ও নীতিমালা, ফোকাল, সেগমেন্টাল এক্রোফেসিয়ার ও ভালগারিস শ্বেতী রোগে আক্রান্তদের প্রাথমিক চিকিৎসায় একটি ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এটি একটা নিরাপদ, সহজ, ব্যয় সাশ্রয়ী ও ব্যবহার অনুকূল পদ্ধতি যাতে ৮০ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই ইতিবাচক ফল দেখা যায় এবং রোগ নিরাময়ের হার মোটামুটি ৭০ শতাংশ।
বর্তমানে আমাদের দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারা চিকিৎসা সমূহ :
১. লোকাল হেলিওথেরাপি : এটি একটি অত্যধিক প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি এবং ফলাফল পরিবর্তনশীল। মিশ্রিত বা অমিশ্রিত সোরালেন ওষুধের প্রলেপ শ্বেতীর স্থানে লাগিয়ে রোদে বসে থাকতে হয় কয়েক মিনিট থেকে অনেক সময় ধরে। রোদ লাগানোর পর ঐ ওষুধ না ধুয়েই ওভাবেই রাখা হয় এবং দিনের অবশিষ্ট সময় রোদে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয় না। এ ধরনের চিকিৎসায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় যা রোগীর মন ভেঙে যায় ও ভয় পায়। পরে তারা চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়। ফলে রোগ নিরাময় হয় না।
২. সিস্টেমিক হেলিওথেরাপি : এটিও একটি অতি প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি এবং ফলাফল পরিবর্তনশীল। প্রতিদিনই চিকিৎসা নিতে হয় এবং অনেক সময় ধরে রোদে থাকতে হয়। এই চিকিৎসায় শ্বেতী দাগ ছাড়াও সারা শরীর ওষুধের প্রভাবে আসে। এই চিকিৎসায় দিনের বাকি সময় রোদে না যাবার বা এড়িয়ে চলার কোনো নির্দেশনাও দেয়া হয় না। বরং চিকিৎসার প্রথম পর্যায়ে রোগের অযাচিত কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে।
৩. লোকাল পুভা : রাজধানী ঢাকায় মাত্র দুটি কেন্দ্রে ও চিটাগাং এ দু/একটি কেন্দ্র রয়েছে। এটা সকলের জন্য খুব সহজসাধ্য চিকিৎসা পদ্ধতি নয়। এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রভাব এখনো পর্যন্ত সুস্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
৪. সিস্টেমিক পুভা : রাজধানী ঢাকায় মাত্র দুটি কেন্দ্রে ও চিটাগাং এ দু/একটি কেন্দ্রে এ ধরনের চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে। সব ধরনের রোগী অর্থাৎ সকলের জন্য এই চিকিৎসা সুবিধা সহজলভ্য নয়। এই পদ্ধতি খুব ব্যাপকভাবে প্রয়োগও হয় না। এই পদ্ধতির প্রায়োগিক ফলাফল এখনো জানা যায়নি।
৫. টপিক্যাল স্টেরয়েড : এটি একটি অতি প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি এককভাবে বা একাধিক থেরাপি অংশ হিসেবে এটি চিকিৎসায় প্রয়োগ করা হয়। প্রতিদিন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য এই চিকিৎসা নিতে হয় এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। ফলাফল পরিবর্তনশীল এবং ধারাবাহিকতাহীন।
৬. সিস্টেমিক স্টেরয়েড : সম্মিলিত থেরাপির অংশ হিসেবে এই চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে। সাধারণত : অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য দৈনিক একবার (টেবলেট) বা মাসে একবার (ইনজেকশন) এই চিকিৎসা নিতে হয়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। ফলাফল পরিবর্তনশীল ও ধারাবাহিকতাহীন।
৭। অন্যান্য পদ্ধতি :
– এসিটি এইচ ষ প্লাসেন্টাল এক্সট্রাক্ট
– লেভামিসল ষ লবণ মিশ্রিত পানিতে গোসল
– কোলটার
– ক্ষতিকর বস্তু (রাসায়নিক/গাছগাছরা) ব্যবহার।
এই সকল চিকিৎসা পদ্ধতি আজকাল খুব কমই ব্যবহৃত হয়। ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ এ ধরনের চিকিৎসায় সাফল্য পাবার দাবি করলেও সার্বিকভাবে এর কার্যকারিতা এখনো জানা যায়নি।
৮. ভিটামিন : কেবলমাত্র রিবোফ্লেভিন বা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স অথবা সম্মিলিত থেরাপির একটি উপাদান হিসেবে এই ওষুধ ব্যবহার হয়। এ ধরনের চিকিৎসার ফলাফল বা সাফল্য তেমন উৎসাহব্যঞ্জক নয়। এই চিকিৎসায় ভিটামিন সি ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলমূল এবং খাবার রোগীদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়ে থাকে।