রাজধানীতে কোটি টাকার জালনোটসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে আরও প্রায় দুই থেকে তিন কোটি টাকার জাল নোট তৈরির কাগজ ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। ঈদকে সামনে রেখে তারা ১ থেকে ২ কোটি টাকা বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করেছিল। রাজধানীতে জাল টাকা তৈরির ৮ থেকে ৯টি গ্রুপ রয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ১০ জনের ৯ জনই জাল টাকা তৈরির অভিযোগে একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছে। গতকাল দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) দেবদাস ভট্টাচার্য। এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে জাল টাকা তৈরি ও বিক্রি চক্রের ওই ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন— রফিক, জাকির, হানিফ, খোকন ওরফে শাওন, রিপন, মনির, সোহরাব, জসিম, রাজন শিকদার ওরফে রাজা ওরফে রাজু ও রাজুর স্ত্রী লাবণী। এর মধ্যে রাজু কাপড়ের ব্যবসার আড়ালে জাল টাকা তৈরির টাঁকশাল গড়েছিল। অতিরিক্ত কমিশনার জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জাল টাকা তৈরির মূল হোতা রফিক। রফিক জাল টাকা তৈরির গুরু নোয়াখালীর ছগির মাস্টারের সহযোগী হিসেবে এক সময় কাজ করত। এক পর্যায়ে সে নিজেই সরঞ্জামাদি কিনে রাজুর মাধ্যমে রাজধানীর কদমতলী থানাধীন পূর্ব জুরাইন বৌ-বাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে জাল টাকা তৈরি শুরু করে। গ্রেফতার হওয়া জাকির মূল জাল টাকা তৈরির মূল কারিগর। সে জাল টাকা তৈরির বিশেষ ধরনের কাগজে বিভিন্ন রকমের জলছাপ এবং নকল নিরাপত্তা সূতা স্থাপন করত। উৎপাদকের এক লাখ টাকা তৈরি করতে খরচ হয় প্রায় ১০ হাজার টাকা। তারা পাইকারি বিক্রেতার কাছে ১ লাখ টাকা ১৪-১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে। পাইকারি বিক্রেতা ১ম খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করে ২০-২৫ হাজার টাকা, ১ম খুচরা বিক্রেতা ২য় খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করে ৪০-৫০ হাজার টাকায় এবং ২য় খুচরা বিক্রেতা মাঠ পর্যায়ে সেই টাকা আসল ১ লাখ টাকায় বিক্রি করে। জাল টাকার বেশিরভাগ কারবারিকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে যারা বাইরে আছে তাদের গ্রেফতারে কাজ চলছে। উদ্ধার হওয়া জাল টাকা আগের টাকার চেয়ে অনেক বেশি নিখুঁত। উদ্ধার হওয়া জাল টাকায়ও নিরাপত্তা সুতা স্থাপন করা হয়েছে। এসব নিরাপত্তা সুতা তারা কীভাবে যোগাড় করেছে সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ওসমানীতে ৬০ সোনার বারসহ যুবক আটক : সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৬০টি সোনার বারসহ এক যুবককে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দারা। ইকবাল হোসেন (২৬) নামের ওই যুবক চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার মধ্যম কাঞ্চন এলাকার শেখ আহমদের ছেলে। গতকাল সকাল ১০টা ৫ মিনিটে ওমানের মাসকট থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের বিজি ২২২ নম্বর ফ্লাইট থেকে তাকে আটক করা হয়। বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওমান থেকে আসা ফ্লাইটটি সিলেট হয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। গতকাল সকালে ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণের পর তল্লাশি চালিয়ে বিমানের ৩৭/জে নম্বর সিটের নিচ থেকে সোনার বারগুলো জব্দ করা হয়। এ সময় ইকবাল হোসেনকে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দারা। ওসমানী বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশনের সিকিউরিটি ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জানান, জব্দকৃত সোনার বারগুলোর ওজন ৬ কেজি ৯৬৮ গ্রাম। এগুলোর বাজারমূল্য প্রায় চার কোটি টাকা।
-
ব্রেকিংবিডিনিউজ২৪ / ০৯ জুন ২০১৮ / তানজিল আহমেদ