ইতিহাসের নোংরা সাক্ষী হলো কিশোরীর মৃতদেহ ধর্ষণের এমন বিকৃত ঘটনা! ঘটনার দিন, গত বুধবার দুপুরের রান্না–খাওয়া শেষে বাড়ির পিছনে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলো গিয়েছিল ১৪ বছরের কিশোরী নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী।
ঘটনার ৩ দিন পর বাড়ির অদূরে জঙ্গলের মধ্যে তার নগ্ন–পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। নৃশংসভাবে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছিল ওই নাবালিকাকে। শুধু তাই নয়, মৃত্যুর পরেও কিশোরীকে ধর্ষণ করে হত্যাকারী ধর্ষক যুবক বিকৃত লালসার শিকার হতে হয়েছে ঐ কিশোরীকে!
এই ঘটনায় গভীর শংকা প্রকাশ করে নানা প্রতিক্রিয়া আর ঘৃনা প্রকাশ করেছেন সামাজিক মাধ্যম বাসি। একইসাথে ভয়ংকর বিকৃতমনা ঐ যুবকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তিরও দাবী জানিয়েছেন সকলেই।
প্রতিবেশি দেশ ভারতের হাওড়ার কুলগাছিয়া তমলুকের চিয়াড়া গ্রামে ঘটে এই নির্মম ঘটনা। তবে ঘটনার শেষ এখানেই নয়! হতভাগী ঐ কিশোরী শুধু জীবিত অবস্থাতেই নয় ইতিহাসের নোংরা সাক্ষী হয়ে মৃত অবস্থাতেও ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক বিকৃত মনা যুবক কতৃক!
গত সোমবার রাতে হাওড়ার কুলগাছিয়া এলাকা থেকে হামিদুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার পর সন্দেহভাজনের তালিকায় প্রথম নাম ছিল তার। অভিযুক্ত ঐ যুবককে আটকের পর তার দেয়া জবানবন্দীতে রিতিমত চমকে উঠেছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিকভাবে কিশোরী হত্যার ঘটনা গণধর্ষণ মনে করলেও প্রকৃত ঘটনা গণধর্ষণ নয় বলে পুলিশকে জানিয়েছে আটক শেখ হামিদুল আলি খাঁ।
হতভাগী মৃত ঐ কিশোরীর বাবা–মা এবং গ্রামের মানুষ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছেন পুলিশকে। সেই সঙ্গে আটক হামিদুলের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ফাঁসির আবেদন নিয়ে প্রয়োজনে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এবং রাষ্ট্রপতির কাছেও যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কিশোরীর বাবা–মা।
তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মণ্ডলের উধৃতি দিয়ে ভারতের এবিপি নিউজ জানায়,‘অভিযুক্ত তার অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। আমরা পরবর্তী যাবতীয় তদন্ত প্রক্রিয়া এবার শুরু করব। আগামীকাল বুধবার আদালতে তোলা হবে আটক যুবককে ।’
আটক হামিদুল তার দেয়া জবানবন্দীর বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, গত বুধবার বিকেলে পাশের একটি বাগানে আম পাড়ার নাম করে কিশোরীর স্নানদৃশ্য লুকিয়ে দেখছিল সে । তাতে প্রতিবাদ করেছিল কিশোরী। তাই মেজাজ হারিয়ে তাকে চড় মারে হামিদুল। এরপর কিশোরীর মুখ চেপে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সেখানে একটি ড্রেনে পড়ে যায় কিশোরি। এরপরই তার ওপর হামলে পড়ে পাশবিক অত্যাচার চালায় সে। ধর্ষণের সময় শ্বাসরোধ হয়ে মারা যায় কিশোরী ।
এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে আবারও গলা টিপে ধরে সে এবং ফের ধর্ষণ করে। নর্দমার মধ্যেই মৃতদেহ পাতা, বাঁশ চাপা দিয়ে চলে আসে। মাঝরাতে গিয়ে দেহ তুলে গভীর খড়ি জঙ্গলের মধ্যে ফেলে আসে এসময় ফের ধর্ষণ করে কিশোরীর মৃতদেহ !
স্থানীয় সুত্রের বরাতে জানা যায়, নিহত কিশোরীর বাড়ির অদূরেই বাড়ি অভিযুক্ত হামিদুলের। পেশায় রাজমিস্ত্রি হামিদুলের দুই স্ত্রী ছিলেন। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সম্পর্ক ভাল নয় দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে।
ঘটনার নিন্দা করার পাশাপাশি অভিযুক্ত হামিদুলের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র জনপ্রতিনিধি হিসেবে নয়, একজন মহিলা হিসেবে আমি চাই অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা।’