শিশুকে সুষম খাবারের অভ্যাস করুন

শিশুর সঠিক পুষ্টির জন্য সুষম খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। মৌলিক খাদ্যগোষ্ঠীর সবরকম খাবার যা দেহের প্রধান পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য সঠিক পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। তাই রকমফের খাবার আপনার শিশুকে খেতে দিতে হবে। ভাত, রুটি, আলু, শাকসবজি, মাছ, মাংস, ফল, দুধ ইত্যাদি সবরকম খাবারই শিশুর জন্য প্রয়োজন।

শিশুর পুষ্টির জন্য দৈনিক সুষম খাবার শিশুকে খেতে দিন যা তার শারীরিক সুস্থতার জন্য অনেক জরুরি। শিশুকে রকমফের ও রঙিন খাবার খেতে দিন।

কার্বহাইড্রেট— শিশুর ক্যালরির বেশিরভাগ চাহিদা কার্বহাইড্রেট থেকে পূরণ করা হয়। যা তার শক্তি চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। ভাত, রুটি, বিস্কুট, সেমাই, সুজি, নুডলস, আলু ইত্যাদি কার্বহাইড্রেটের ভালো উৎস। শুধু ভাত খাওয়ানোয় শিশুকে জোর না করে বরং যে কোনো কার্বহাইড্রেট জাতীয় খাবার শিশুকে দেওয়া যেতে পারে।

প্রোটিন— সুস্থ, সঠিক ও শিশুর দেহের গঠনে সবচেয়ে বেশি দরকার হয় প্রোটিন। মাছ, মাংস, দুধ, দুধের তৈরি খাদ্য, ডিম, ডাল ইত্যাদি প্রোটিন জাতীয় খাবারের ভালো উৎস। দুধ প্রতিদিন শিশুর জন্য অত্যাবশ্যকীয়। তাছাড়া অন্যান্য প্রোটিন জাতীয় খাবার শিশুকে রকমফের করে দিতে হবে।

ফ্যাট— ফ্যাট শিশুর ক্যালরির চাহিদা পূরণ করা ছাড়াও শারীরিক আরও নানা কাজের জন্য বিশেষভাবে জরুরি। তাই শিশুর খাবারে অবশ্যই তেলের ব্যবহার করতে হবে। যা চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন দেহে শোষণে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের সুস্থতা ও ত্বকের সুরক্ষার জন্যও ফ্যাট জরুরি।

ভিটামিন/ মিনারেল— শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন/ মিনারেল সরবরাহ করা অনেক জরুরি। বিভিন্ন রকম ফল ও শাকসবজি থেকে নানারকম ভিটামিন/ মিনারেল পাওয়া যায়। রাতকানা, গলগণ্ড রোগ, রক্তস্বল্পতা, রিকেটস্ রোগ প্রতিরোধ ছাড়াও আরও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই ফল ও সবজি রকমফের করে দিতে হবে।

তামান্না চৌধুরী, প্রধান পুষ্টিবিদ, এ্যাপোলো হসপিটাল, ঢাকা