অসামাজিক অবস্থায় ভাগ্নের সাথে মামি হাতে নাতে আটক! অতঃপর….

পরকীয়া প্রেম যেন এক ব্যধিতে রূপ ধারন করেছে।প্রতিনিয়ত সারাদেশে পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে স্বামী চলে যাচ্ছে অন্য নারীকে নিয়ে আবার স্ত্রী উধাও হচ্ছে প্রেমিকের হাত ধরে এমন ঘটনা ঘটছে ।এবার ঘটলো অবাক করার মতো ঘটনা মামির সাথে পরকিয়ায় ভাগনে।জানা জেছে

ঢাকার ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের মামুরা কাইজারকুন্ড গ্রামে অনৈতিক কর্মে ধরা পড়ায় মামি-ভাগনে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে। শুধু তাই নয়, নাকেমুখে চুনকালি মেখে ছেড়া জুতার মালা পরিয়ে এলাকায় ঘোরানো হয়েছে তাদের। পরদিকে স্থানীয় টেরা বাবুল বাহিনী তাদের দাবিকৃত ছয় লাখ টাকা দেয়া না হলে মামি-ভাগনেকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়েছে। এদিকে লজ্জা ও ঘৃণায় জনসমাজে মুখ দেখাতে না পেরে মেয়াদোত্তীর্ণ ঘুমের ট্যাবলেট সেবনের মাধ্যমে আত্মহুতি দেয়ার চেষ্টা করে ওই মামি-ভাগনে।

ওই গৃহবধূ (মামি) বলেন, ভাগনের মোবাইল ফোনে ধারণকৃত দৈহিক মেলামেশার ভিডিও চিত্র ইন্টারেনেটে ছাড়ার হুমকিতে ভাগনের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েন তিনি। ফলে ভাগনের কথার অবাধ্য হওয়ার কোনো সুযোগই ছিল না তার। কাজেই ভাগনের ইচ্ছামতো তাকে শয্যাশায়ী হতে হয়েছে। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানায়, ওই গৃহবধূর স্বামী সিঙ্গাপুরে চাকরি করছেন ৭-৮ বছর ধরে। বছর দেড়েক আগে দেশে এসে প্রতিবেশীর মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের মাস খানেক পরেই তিনি ফের প্রবাসে পাড়ি জমান।

এ সুযোগে ওই স্বামীর ভাগনে তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় মামিকে রোববার ১০টার দিকে তার বাবার বাড়িতে ডেকে পাঠায়। তারা অনৈতিক কাজে লিপ্তাবস্থায় জনতার হাতে ধরা পড়ে। ক্ষুব্ধ জনতা তাদের দুজনকে এক দড়িতে বেঁধে গণধোলাই দেয়। পরে গলায় ছেঁড়া জুতা পরিয়ে ও নাকেমুখে চুনকালি মাখিয়ে তাদের পুরো গ্রাম ঘোরানো হয়।

এদিকে স্থানীয় টেরা বাবুল বাহিনী এ অনৈতিক কাজের খেসারত ও প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ ওই দুটি পরিবারের কাছে দাবি করেছে ছয় লাখ টাকা। এ টাকা না দিলে দেয়া হয়েছে এলাকা ছাড়ার হুমকি। ছয় লাখ টাকা দাবির কথা স্বীকার করে টেরা বাবুল বাহিনীর প্রধান টেরা বাবুল জানায়, ওরা যে অনৈতিক কাজ করেছে তাতে ওদের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার। তাহলে কেউ আর এ ধরনের কাজ করবে না।

ওই গৃহবধূ জানায়, তার স্বামী বিদেশ চলে যাওয়ার পর আমার মনটা খারাপ ছিল। তাই আমি ভাবতে ভাবতে আমার শোয়ার ঘরের দরজা খোলা রেখেই ঘুমিয়ে পড়ি। এ সুযোগে ভাগনে চুপিসারে ঘরে দৈহিক মেলামেশা করে। আমি ঘুমের মধ্যে আমার স্বামীকে ভেবে আমি কোনো আপত্তি করিনি। মনে করেছিলাম আমার স্বামীই আমার সঙ্গে দৈহিক মেলামেশা করছে।

আরও বলেন , ভাগনে এ দৈহিক মেলামেশার দৃশ্য ভিডিও চিত্র তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরদিন ভিডিও তাকে দেখায়। আর বলে- তার কথামতো না চললে কিংবা অবাধ্য হলে সে ওই ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে। ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে আমি তার কথায় রাজি হয়ে যাই।এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি না হয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে ভাগনে।এমন ঘটনায় অনেকটা ক্ষুব্দ তার আত্বীয় স্বজন। তবে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয় ।তাদেরকে পুলিশে দেয়া হয় নি। তাদের বিরদ্দে কোন আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।