চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ গল্লাক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সি (৫৬) খুন হয়েছেন। তিনি কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগ সদস্য ছিলেন।
সোমবার রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে শহরের ষোলঘর পাকা মসজিদ-সংলগ্ন এলাকায় নিজ বাড়ির দ্বিতীয় তলায় খুন হন ফেন্সি।
খুনের ঘটনায় ফেন্সির স্বামী জহিরুল ইসলাম ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। জহিরুল জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, যে বাড়িতে ফেন্সি খুন হন, সেটি পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ৩০০ গজের মধ্যে অবস্থিত। ঘটনার পর পুলিশ বাড়িটিতে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে রাখে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সেলিম আকবর ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য সাজেদা কাকনের ভাষ্য, রাতে হাঁটতে বেরিয়ে ছিলেন ফেন্সি। তাঁর স্বামী জহিরুল নামাজে গিয়ে ছিলেন। হাঁটা শেষে ফেন্সি ঘরে ফেরেন। নামাজ শেষে জহিরুল বাসায় ফিরে তাঁর স্ত্রীকে নিজ কক্ষের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ আসে।
পুলিশ জানায়, ফেন্সির মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হতে পারে।
ফেন্সির ভাই নাঈম উদ্দিন বলেন, বছর তিনেক আগে জহিরুল গোপনে আরেকটি বিয়ে করেন। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী শহরের নাজির পাড়ায় থাকেন। এ নিয়ে পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়লি উল্লাহ বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফেন্সির স্বামী জহিরুল ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ফেন্সির লাশ চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।