কয়েকটি জেলার আলোচিত ইয়াবা সুন্দরীরা ছবিসহ তাদের দেখে নিন

আলোচিত ইয়াবা সুন্দরীরা- বর্তমান সময়ে নেশার জগতে ইয়াবা সবচেয়ে আলোচিত মাদকের একটি। ইয়াবার মতো অন্যকোনো মাদকদ্রব্য অল্প সময়ের মধ্যে সমাজে এতোটা বিস্তার লাভ করেনি।

সমাজের একেবারে উচ্চশ্রেণী থেকে শুরু করে নিন্ম শ্রেণী পর্যন্ত, কিশোর থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সকল শ্রেণীর মাদকাসক্তদের কাছে ইয়াবার কদর ভিন্ন। বিশেষ করে এই মাদকটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের মধ্যে ব্যপক আকারে বিস্তার লাভ করেছে।

এদিকে ইয়াবা বিক্রির সাথে জড়িত রয়েছে নারীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। যাদেরকে ইয়াবা সুন্দরী বলা হয়ে থাকে। রাজধানী ঢাকায় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে নারীরাই এগিয়ে রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

এছাড়া দেশর সকল জেলায় এই ইয়াবা সুন্দরীরা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের রমরমা ব্যবসা। ধরাও পরছে অনেকে। বিশেষ করে মাদক বিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন বেশিরভাগ ইয়াবা সুন্দরী।

কয়েকটি জেলার ইয়াবা সুন্দরীদের নাম পরিচয় তুলে ধরা হলো-

নারায়ণগঞ্জ :

নারায়ণগঞ্জের ইয়াবা সুন্দরীদের মধ্যে অন্যতম সনিয়া আক্তার (১৯), শাহনাজ (৪০) নামের দুই নারী। বর্তমানে নারায়নগঞ্জে বসবাস করলেও পটুয়াখালী গোরামবাড়িয়া এলাকার কাউসার মিয়ার স্ত্রী সনিয়া আক্তার ও মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর হাসারা গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী শাহানাজ বেগম। এছাড়া নগরের ইয়াবা ব্যাবসায়ী টোকনের স্ত্রী রিতার নামও রয়েছে পুলিশের তালিকায়।

সিরাজগঞ্জ:

সিরাজগঞ্জের আলেচিত ইয়াবা সুন্দরী মুশতারী জাহান লিমা (২৫)। সে সদর উপজেলার বাহুলি ইউনিয়ন পরিষদের সাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিদর্শক সেতারা বেগম ও মৃত গাজী আজিজুর রহমানের মেয়ে। লিমা ইয়াবাসহ আরও অনেক মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

নরসিংদী:

নরসিংদীর আলোচিত ইয়াবা সুন্দরী নদী (৩৪)। তার স্বামী শাকিলও এই ব্যবসায় জড়িত। শহরের নাগরিয়াকান্দির হিরা মিয়া সরদারের মেয়ে নদী ও তার স্বামী ইয়াবা ব্যবসার জন্য বেশ কয়েকবার পুলিশের কাছে আটক হয়েছেন।

মানিকগঞ্জ:

মানিকগঞ্জে ইয়াবা সুন্দরী হিসাবে পরিচিত রুমি আক্তার (২০)। রুমি আক্তার টাঙ্গাইলের টেংরীপাড়া গ্রামের মুকুল কাজীর মেয়ে ও মানকগঞ্জের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ব্ল্যাক রাজুর সাবেক স্ত্রী। রুমির নামে মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলো সে।

রাজশাহী:

রাজশাহীর আলোচিত ইয়াবাসহ সুন্দরী কলি (২৫)। কলি শেখেরচক মহলদারপাড়ার জিল্লুর সরদারের মেয়ে ও আরিফিন ইসলাম সঞ্জুর স্ত্রী। সে এই পথে পুরনো না হলেও সম্প্রতি রাজশাহীতে ইয়াবা সুন্দরী হিসেবে পরিচিতি পায়।

চট্টগ্রাম:

৩০ বছরের সুন্দরী নারী রোকছানা। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরেন বিলাসবহুল বাস গ্রীন লাইনে। সঙ্গে আনেন যুব সমাজ ধ্বংসের বিপুল পরিমাণ ইয়াবা বড়ি। অন্যদের চেয়ে অনেকটা আলাদাভাবে ব্যবসা করেন রোকসানা।

প্রয়োজনে সে দুর-দূরান্তে গিয়ে ডিলারদের কাছে ইয়াবা পৌঁছে দেন। তিনি যাত্রী বেশে তার সহযোগীদের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, টেকনাফ হতে ঢাকায় ইয়াবা বড়ি বহন করে আসছেন। বিলাসবহুল গাড়ি হওয়ায় এভাবে ইয়াবা বহন করা সহজলভ্য, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়ানোও সম্ভব।

টেকনাফ:

নিজের সুন্দরী দু’কন্যা দিয়ে ইয়াবা ব্যবসাসহ দেহ ও বিবাহ প্রতারণাও করেন টেকনাফের ইয়াবা সুন্দরী ছাবেকুন্নাহার (প্রকাশি শফিকা)। আত্মগোপনে থাকা এই নারী এখন সিন্ডিকেট পদ্ধতিতে সারাদেশে সুন্দরী নারীদের দিয়ে নির্ভয়ে পাচার করে যাচ্ছে অপ্রতিরোধ্য মরণ নেশা ইয়াবা।

চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকার মইজ্যার টেক আবুল কালামের ভাড়া বাসায় গোপনে বসবাস করে নিয়ন্ত্রণ করছে এসব সিন্ডিকেট। শুধু তাই নয়, তার সুন্দরী ২ কণ্যাসহ মিয়ানমারের সুন্দরী সুন্দরী রমনী দিয়ে নামী দামী ফ্ল্যাট ভাড়া করে চালিয়ে যাচ্ছে দেহ ব্যবসা ও ইয়াবা সেবনের কাজ। এই সম্রাজ্ঞী এখন আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন হিসেবে খ্যাত।

বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ইয়াবাসহ আটক হয় অনেকবার। আটকের কয়েক মাস যেতে না যেতে মোটা অংকের বিনিময়ে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পূণরায় বীরদর্পে শুরু করে অবৈধ কর্মকান্ড। তার এইসব অপকর্মের পেছনে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা জড়িত বলেও জানা যায়।

তার বড় মেয়ের নাম আয়েশা ছিদ্দিকা। সুন্দরী এই যুবতী কোটিপতি যুবকদের সর্বোচ্চ লুটে নেয় চোখের ইশারায়।

ছোট মেয়ের নাম উম্মে হাবিবা। সেও বড় বোনোর মতো একই কাজে পারদর্শী।

বরগুনা:

বরগুনার আলোচিত ইয়াবা সুন্দরীর নাম মোসা. হোসনেয়ারা। তিনি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার মালিপাড়া এলাকার মো. সোহেলের স্ত্রী।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হোসনেয়ারার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বরগুনায়।

উখিয়া:

উখিয়ার ইয়াবা সুন্দরি বেবি আক্তার। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে জমজমাট তার ইয়াবা ব্যবসা। বেশভূষায় হাইফাই দেখতে সুন্দরী হওয়াতে সেবনকারী ও ইয়াবা পাটনারের কমতি হয়না তার। বেবির বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

ভোলা:

ভোলার ইয়াবা সুন্দরী সীমা (১৮)। মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশের হাতে একাধিকবার আটক হয়েছে এই সুন্দরী। তবে প্রত্যেকবারই তিনি কিছুদিন পর বের হয়ে ফের পুরনো ব্যবসায় জড়িয়ে পরেছেন।

কক্সবাজার:

কক্সবাজারের বহুল আলোচিত ইয়াবা সুন্দরী জান্নাতুল ফেরদৌস নিকিতা। শুধু মাদকই নয়, বিয়ের নামে প্রতারণাও তার অন্যতম পেশা বলা চলে। নিকিতা বিদেশ থেকে ৭০ লাখ টাকা খরচ করে তার ত্বক পরিবর্তন করেছে।

ত্বকের পরিচর্যায় মাসে তার খরচ হয় ৬০ হাজার টাকা। দুজন গৃহকর্মী নিয়মিত তার শরীরে লোশন লাগিয়ে দেয়। ত্বকের সমস্যায় গ্লাবস পড়ে খাবার খেত সে।