মাদকসেবীদের কাছে ইয়াবা ট্যাবলেট এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়। ক্ষতিকর এই ইয়াবা টেকনাফ বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে ১৯৯৭ সাল থেকেই, ২০০০ সালের পর থেকে দেশে ইয়াবার বাজার চওড়া হয়ে উঠেছে। ইয়াবা হচ্ছে মেথাফেটামিনা ও ক্যাফেইনের সংমিশ্রনে তৈরি এক ধরনের ড্রাগ যা একজন মানুষকে শারীরীক ও মানসিক অস্বস্তির দিকে ঠেলে দেয় ।
ইয়াবা সেবনের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে অনেক চাঙ্গা মনে হলেও নিয়মিত সেবনে মানুষকে ধীরে ধীরে অক্ষম ও অসমর্থ করে তোলে যার কারণে মানুষের মধ্যে অসামাজিক ও অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন ইয়াবা সেবন করলে লিভার, ফুসফুস, হৃদপিন্ড অক্ষম হয়ে পড়ে যা নিশ্চিত মৃত্যুর কারণ।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আলী আসকার কোরেশী বলেন, ‘ইয়াবা খেলে শরীরে উত্তেজনা আসে। ফলে ঠিকমতো ঘুম হয় না। এক নাগাড়ে দুই তিনদিনও না ঘুমিয়ে জেগে থাকতে পারে। মনে করে যে সে ভীষণ কাজ কর্ম করবে কিন্তু আসলে কোনো কাজই হয় না। কেউ হয়তো মনে করে যে আমি আজকে রাতে পড়ে কাল পরীক্ষা দেব, কিন্তু সে সারা রাত ধরে একটা পাতাও উল্টাতে পারে না, এক পাতাতেই বসে থাকে।’
মনোবিজ্ঞানী মোহিত কামাল বলেন ’যখন ইয়াবা নেয় তখন শরীরে একটু ফুরফুরা ভাব কাজ করে। কিন্তু যখন নেয় না তখন শরীরে ব্যথা করে। মাংসপেশিতে ব্যথা হয়। হাড়ের ভেতরে শিরশির করতে থাকে। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে তারা আবারও মাদক নিতে বাধ্য হয়।’
এই সর্বনাশা ড্রাগ থেকে তরুণ সমাজকে মুক্ত করার লক্ষ্যে সরকার এখন মাদক বিরোধী অভিযানে চালাচ্ছে। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি