ছেলেটিকে সেহরি খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে সে সুযোগে মেয়েটি তার সাথে …

সেহেরি খাওয়ার জন্য দাওয়াত- জামালপুরে নারী পাচার সদস্যার অন্যতম হোতা বলে পরিচিত, জামালপুর পৌর এলার তেতুলিয়া গ্রামের (খালের সাথে থাকা বড় বাড়ীর) আব্দুর করিমের ছেলে সুজন বাবু কোজগর গ্রামে ৩১ মে বৃহস্পতি বার গভীর রাতে জনতার হাতে আটক হয়।

ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ১ টার সময় কোজগর গ্রামের মানুষ বিউটির ঘর থেকে সুজনকে আটক করে। এলাকাবাসী জানান- বিউটির নারিকেলী গ্রামের নূর বক্তের মেয়ে। পারিবারিক ভাবে তার বিয়ে হয় গত এক যুগ আগে, এই সময়ে তার ঘরে দুটি সন্তান রয়েছে। গত সাত মাস আগে তার স্বামী না ফেরার দেশে পাড়ি জমায়। এর পর থেকে বিভিন্ন সময় তার আচরন সন্দেহ জনক বলে জানান স্থানীয় এলাকা বাসী।

ঘটনা সম্পর্কে বিউটি জানান- গত এক সপ্তাহ থেকে আমাকে বিয়ে করার উদ্দেশ্য বাবু পরিচয়ে আটক হওয়া ছেলেটি কথা বলে আসছিল। সে মুঠো ফোনে জানায়, তার বাড়ী মাদারগঞ্জ এবং ঢাকায় বড় একটি কারখানাতে কাজ করে।

আমি সরল মনে তাকে দেখতে চেয়ে, বাড়ী আসতে বলি। সে আমাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকা থেকে মাদারগঞ্জ যাচ্ছে বললে, আমি তাকে বাড়ীতে আসে বলি দেখার জন্য। সে বিয়ে করবে কিনা সেটা জানতে চাই।

অপর দিকে তেতুলিয়া গ্রামের নারী খেকো আটক করিমে ছেলে, সুজন বাবু জানায় – একই এলাকার বেকারী ব্যবসায়ী তার বন্ধু, রঞ্জু তাকে কথা বলে, পটানোর জন্য, বিউটির ফোন নাম্বারটি দেয়। সুজন পরিচয় গোপন করে, তার বাড়ী প্রথমে শেরপুর, পরে মাদারগঞ্জ বলে জানায়।

পরে তার মোবাইলে থাকা নাম্বারের তালিকায় নাকাটির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজাদ ভায়ের মাধ্যমে তার সঠিক পরিচয় জনসন্মুখে আসে। জানা যায় সে একজন প্রতারক এবং নারী লোভী । বিভিন্ন সময় মেয়েদের নিয়ে আটক, নারী ধর্ষন ও পাচার করে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।

ঘটনা সম্পর্কে সুজন আরো জানান, রাত ১০.৩০ মিনিটের সময়, দুজনের সম্মতিক্রমে আটক হওয়া ঘরে প্রবেশ করে সে। সারা রাত জেগে সেহেরি খাওয়ার জন্য তাকে দাওয়াত দিয়েছিলো বিউটি।

বিদায় নেওয়ার কথা ছিল সেহেরি খাওয়ার পর, তাকে দাওয়াত জন্য গরুর ও মুরগীর মাংস রান্না করেছিল বিউটি। ঈদগাহ মাঠের সামনে থেকে ৫০০ লেচু ও ৫ কেজি আম ও ২ কেজি আপেলসহ বিউটি তাকে এগিয়ে নিয়ে যায়, বলে জানায়।

সে আরো জানান, ঘরে আসার পর তার মৃত স্বামীর লুঙ্গি পরে, তারপর দুজনের সম্মতিক্রমে তার কথা মতো আনা জম্ম নিয়ন্ত্রক কনডম বের করে। আটকের পর বিউটির পিতা নূর বখত কে আনা হলে, সে মেয়ের মুখে সমস্ত কথা শুনে, তাকে নিতে পারবে না জানিয়ে বিদায় নেয়। পরে তারা মামা এসেও একি মত প্রকাশ করেন।

সুজন জনতার হাতে আটক সম্পর্কে ছোট মামা এরশাদ, বড় মামা মন্টু ও তার পিতা করিম জানান, ছেলেকে নিতে প্রতিনিয়ন তাদের এ রকম ঘটনার সন্মুখীন হতে হয়।

এলাকা বাসী আসতে বললে, সুজনকে নিতে আসতে অস্বীকৃতি জানায় তারা। তারা জানান, সুজনের বউ ও দুটি সন্তান রয়েছে। কয়েক মাস পর পরই, সে এ রকম কাহিনীর জন্ম দেয়। পরিবারের সদস্যরা তার অপর্কমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বলে জানায় তারা।

স্থানীয় অনেকের দাবী, অসহায় নারীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিক্রি করার উদ্যেশ্যে একটি মহলের হয়ে কাজ করে সুজন। শত শত নারীদের দেহ ভোগ করার পর, তাদের বিভিন্ন কৌশলে প্রতারিত করে। নারী লোভী এ সুজনকে বিশ্বাস করে, তার ফাঁদে পা দিয়ে, জানা -অজানা মরনের পথ বেছে নিচ্ছে প্রতিনিয়ন ।

পরে দিন শুক্রবার বিউটির মা ঢাকা থেকে আসার পর এদের নিয়ে জামালপুরে জর্জকোটের এডভোকেট ফারুক সাহেবের উপস্থিতিতে শালিসী বৈঠকের আয়োজন করে, জামালপুর সদর থানাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।

তারা ঘটনার স্থলে আসার কালক্রমে দেখে হাজারো মানুষের সামনে উভয়ের স্বাক্ষর রেখে, উভয়কে পরিবার থেকে আসা লোকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় ইউপি সদস্য খায়রুল আলম শামিমসহ স্থানীয় মাতব্বর শ্রেনী উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় এলাকায় মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। সুজন -বিউটির কাহিনী এখন সবার মুখে মুখে।