বর্তমান সরকার সমাজ থেক মাদক নিমূলের লক্ষে সারাদেশে মাদকের বিরুদ্দে কঠোর অভিযান চালাচ্ছে। এতে সারাদেশের প্রধান ইয়াবাব্যাবসায়ীদের চিহুত করে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযানের সময় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশের বন্দুক যুদ্দ হয়ে থাকে এতে মারা যাচ্ছে অপরাধীরা। র্যবের এক অভিযানে ভূল তথ্যে
কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক নিহত হওয়ার পর শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একরামুলের এই মৃত্যু নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। স্বামীর সাথে শেষ মোবাইল কথোপকথন প্রকাশ করে এটিকে ঠান্ডা মাথার হত্যা বলে দাবি করেছেন একরামের স্ত্রী।
এদিকে একরামুল হকের স্ত্রী আয়েশা বলেন, একরাম মারা যাওয়ার পর আমরা যখন হসপাতালে তার লাশ আনতে গেলাম তখন সেখানে র্যাব-৭-এর গাড়ি দেখে তাদের বললাম, আপনারা কেন আমার স্বামীকে খুন করছেন? তখন ওনারা বলেছেন, ওপর থেকে অর্ডার এসেছে। আল্লাহর কাছে বিচার দেন। আমরা কাজ করার মানুষ। আমরা শুধু অর্ডার পালন করছি।
শুক্রবার বিবিসিতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। এছাড়া তিনি অভিযোগ করেছেন, র্যাব ও একটি সংস্থার লোকেরা তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছেন।
আয়েশা আরও বলেন, একরামুল হক ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলেন না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রয়োজন। এ জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কথিত বন্দুকযুদ্ধে একরামুল নিহত হওয়ার আগ মুহূর্তের কথোপকথন ও ওই সময়ের পরিস্থিতি নিয়ে অডিও টেপ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, একরামুল হকের নিহত হওয়ার বিষয়টি একজন ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত করবেন।
মন্ত্রী বলেন, ওই ম্যাজিস্ট্রেট্রের দেয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ যদি প্রলুব্ধ হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, একরাম ভিকটিম হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে বলা সম্ভব না । কোনো মহৎ কাজ, বড় অভিযান করতে গেলে দু-একটি ভুল হতে পারে। সে ভুলের জন্য যারা দায়ী তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, মাদকবিরোধী অভিযানে গত ২৬ মে মধ্যে রাতে টেকনাফে গুলিতে মারা যান একরামুল হক। এ ঘটনার পর থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও পরিবার দাবি করে আসছে, বিভিন্ন তালিকায় তার নাম থাকলেও একরামুল ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলেন না। তিনি ছিলেন সৎ একজন মানুষ।