পটাসিয়াম শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইলে নিয়মিত পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। অনেকে মনে করেন পটাসিয়ামের অন্যতম উৎস কলা। কিন্তু কলা ছাড়াও রয়েছে অনেকগুলো পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। জেনে নিন পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার সম্পর্কে।
অ্যাপ্রিকট বা খুবানি
শুকনো অ্যাপ্রিকট যদি দিনে ৬টা খাওয়া যায়, তা হলে সহজেই ৪৮৮ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম পাওয়া যেতে পারে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়, চোখ ভাল থাকে, হাড়ের গঠন মজবুত হয়।
পালং শাক
এই শাক পুষ্টির সমাহার বললে ভুল হবে না। অপরিহার্য ভিটামিন এ, সি, কে ছাড়াও রয়েছে ফোলিক অ্যাসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম। এক কাপ পালং শাকে প্রায় ৫৪০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। ওজন কমাতেও সাহায্য করে পালং।
ডাবের পানি
পুষ্টির সমাহার ডাবের পানিতে। বলছেন চিকিৎসকরাই। এক কাপ পানি জলে প্রায় ৪০৫ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। সে ক্ষেত্রে কলার বদলে বেশ খানিকটা ডাবের পানি খেলেও ঘাটতি কমবে।
তরমুজ
এই ফলে পানির পরিমাণ অনেকটাই বেশি। হৃদযন্ত্রের সমস্যায় উপকারী তরমুজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। মাত্র এক টুকরো তরমুজে (গোটা তরমুজের ১৬ ভাগের এক ভাগ) ৩২০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। যা প্রতি দিনের প্রয়োজনের প্রায় ৭ শতাংশ পূরণ করে।
আলু
রোজের খাবারে আলু থাকে না, এ রকম মানুষ পাওয়া বেশ দুষ্কর। ১০০ গ্রাম আলুতে ৪২১ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। তাই সহজেই অপরিহার্য মৌলের ঘাটতি মেটায় এই সব্জি। মিষ্টি আলুতেও পটাসিয়ামের মাত্রা যথেষ্ট। ১০০ গ্রাম মিষ্টি আলুতে পটাসিয়ামের পরিমাণ ৩৩৭ মিলিগ্রাম।
বেদানা এই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফোলেট। ১০০ গ্রাম বেদানায় পটাসিয়ামের পরিমাণ ২৩৬ মিলিগ্রাম। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর এটি।
লেবুজাতীয় ফল
পটাসিয়ামের সমাহার রয়েছে মোসাম্বিতে, এমনই জানালেন ডায়েটিশিয়ান রেশমী রায়চৌধুরী। ১০০ গ্রাম মোসাম্বিতে রয়েছে ৪৯০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম। ১০০ গ্রাম কমলালেবুতে রয়েছে ১৮১ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম।