সন্তানের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে যাচ্ছেন বাবা! তদন্তের নির্দেশ

মর্মস্পর্শী ঘটনা ঘটল নীতীশ কুমারের রাজ্যে। বিহারের নালন্দা জেলায় দেখা যায় এক ব্যক্তি তাঁর সন্তানের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে যাচ্ছেন। কারণ পাওয়া যায়নি অ্যাম্বুলেন্স। হাসপাতাল থেকে সেই ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি। চরম গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে সদর হাসপাতালের বিরুদ্ধে। যে হাসপাতালটি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নিজের জেলা। সেখানেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। শিশুটি এনসেফেলাইটিস

রোগে আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। সন্তানের দেহ নিয়ে হাসপাতালে ছোটাছুটি করছেন বাবা। সবার কাছে গিয়ে সাহায্য চাইছেন সন্তানের দেহ সৎকারের জন্য অ্যাম্বুলেন্স করে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কারও কোনও হেলদোল দেখা যায়নি। অবশেষে শোকে চোখের জল ফেলতে ফেলতে কাউকে কিছু না বলে নিজের কাঁধে সন্তানের দেহ নিয়ে হাসপাতাল ছাড়লেন

তিনি। উলটে দেখা গেল কোনও একটি পরিবারকে অ্যাম্বুলেন্স পাইয়ে দেওয়া হল। ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়লে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।শিশুটির নাম সাগর কুমার। যাকে ভর্তি করা হয়েছিল সদর হাসপাতালে। এই ঘটনায় নালন্দার জেলাশাসক যোগেন্দ্র সিং তদন্তের নির্দেশ জারি করেছেন। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন:অনুকূল আবহাওয়ার কারণে আগামী তিন–চার দিনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় হতে পারে দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু। ওড়িশা, সিকিম, উত্তরপূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি, কর্নাটক, কোঙ্কন উপকূল, গোয়া, তামিলনাড়ুতেও আগামী তিন–চার দিনের মধ্যেই বর্ষা ঢুকে যেতে পারে। মঙ্গলবার এই আশার বাণী শুনিয়েছে মৌসম ভবন।উত্তরপূর্ব আরব সাগর, সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ উপকূলে নিম্নচাপ তৈরি

হয়েছে যা বিস্তৃত হয়ে গিয়েছে দক্ষিণপশ্চিম রাজস্থান এবং দক্ষিণ পাকিস্তানের উপর পর্যন্ত। নিম্নচাপের সঙ্গেই তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর আগামী তিন–চার দিনে মধ্যেই তৈরি হতে পারে গভীর নিম্নচাপ। পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে অন্ধ্র উপকূল পর্যন্ত তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। পূর্ব জম্মু–কাশ্মীরের উপরও রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। উত্তরপূর্ব উত্তর প্রদেশ থেকে বিহার হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে রয়েছে একটি নিম্নচাপ। এই সব অনুকূল পরিস্থিতির জন্যই দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ুর এগনোর পথ সুগম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াহবিদরা। তবে আগামী শনিবারের আগে স্বস্তি মেলার কোনও আশা নেই দক্ষিণবঙ্গে।