চট্টগ্রামের কাপ্তাই থানার চন্দ্রঘোনা এলাকায় স্কুলছাত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচণায় চন্দ্রঘোনার ইউপি সদস্য আজিজুল হক মন্ত্রীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার আরেক আসামির নাম সাইফুল ইসলাম।
সোমবার বিকেলে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কাপ্তাই থানার ওসি সৈয়দ মো. নূর।
তিনি বলেন, নিহতের বড়ভাই অভিযোগ করার পর অভিযান চালিয়ে আমরা দুইজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
এরআগে সোমবার দুপুরে নিহত মুন্নি আক্তারের বড় ভাই মোশারফ হোসেন কাপ্তাই থানায় আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে একটি মামলা করেন। মামলায় আজিজুল হক মন্ত্রী, সাইফুল ইসলাম, নুরুন্নবী, ও নিহতের ফেসবুক ফ্রেন্ড ফরহাদসহ অজ্ঞাত আরো ১০ থেকে ১২জনকে আসামি করা হয়।
কাপ্তাই থানা এলাকার কে.আর.সি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সদ্য এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া মুন্নি আক্তার (প্রকাশ বিবি ফাতেমা) ফেসবুকের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরীর হাফেজ এমরান হোসেনের ছেলে মো. ফরহাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে কাপ্তাই এসে ফাতেমার বাড়ির সামনে পেয়ারা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ কথা বলে।
এই কথা বলাকে টোপ হিসেবে নিয়ে নানান বাজে গল্প বানায় এলাকাবাসী। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় স্থানীয় ইউপি মেম্বারও। ছেলেটিকে মসজিদের কোনায় আটকে রাখা হয়। পরে বিষয়টিকে দামাচাপা দিতে পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে ইউপি মেম্বার মো. আজিজুল হক (প্রকাশ-মন্ত্রী)।
সে অপবাদ সহ্য করতে না পেরে গত ১ জুন সকালে কয়লারডিপু এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করে মুন্নি। আত্মহত্যা করার আগে পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটি চিরকুটও লিখে যায়।
ডেইলি বাংলাদেশ