নতুন বছরের প্রথম দিনের ভয়াবহ ভূমিকম্পে জাপানের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ৭৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৫১ জন। জাপানের সংবাদমাধ্যম কিয়োডো নিউজের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সি।
গত ১ তারিখ সোমবার স্থানীয় সময় বিকেলে জাপানের সিরিজ ভূমিকম্প শুরু হয়। এসব ভূমিকম্পের মধ্যে সবচেয়ে বড়টির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬। জাপানের আবহাওয়া ও ভূতত্ত্ব গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সোমবারের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬০০ ভূমিকম্প হয়েছে দেশটিতে।
এসব ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বা এপিসেন্টার ছিল জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় নটো প্রশাসনিক বিভাগ। ভূমিকম্পের জেরে জাপান সাগরের তীরে অবস্থিত নটো বিভাগের বিভিন্ন শহরে সুনামির জলোচ্ছ্বাসও হয়েছে।
ভূমিকম্প-জলোচ্ছ্বাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে নটো বিভাগের ইশিকাওয়া জেলার। এই জেলার প্রতিটি শহরের কোনো ভবন-ঘরবাড়ি অক্ষত অবস্থায় নেই। ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকা পড়ে আছেন অনেক মানুষ এবং হাজার হাজার বাড়িঘর এখনও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন।
উদ্ধার অভিযানকে গতিশীল করতে দুর্যোগ মোকাবিলা কর্মীদের পাশাপাশি তৎপরতা চালাচ্ছেন জাপানের সেনা ও পুলিশ বাহিনীর হাজার হাজার সদস্য। উদ্ধার তৎপরতার পাশাপাশি ত্রাণসামগ্রীও সরবরাহ করছেন তারা।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ভূমিকম্পের পর এক বার্তায় বলেছেন, ‘ধ্বংসস্তূপের তলায় এখনও যারা জীবিত অবস্থায় রয়েছেন, তাদেরকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধারের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে এবং উদ্ধারকারী বানিহীর সদস্যদেরও সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’