ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস শহরে অস্ট্রিয়ান এলাকার একটি কবরস্থানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে বর্তমানে বর্বরতা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি, স্কুল-কলেজ, মসজিদে নিয়মিত হামলা চালানোর সঙ্গে কবরস্থানকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে তারা।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বুধবার (১৭ জানুয়ারি) জানিয়েছেন, অস্ট্রিয়ান এলাকার সেই কবরস্থান থেকে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের মরদেহ চুরি করে নিয়ে গেছে ইসরায়েলের সেনারা। চুরিকৃত মরদেহ কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে স্থানীয় মানুষ কিছু জানেন না।
স্থানীয় বাসিন্দারা সেই কবরস্থানের বিভিন্ন ভিডিও ও ছবি প্রকাশ করেছেন। এতে দেখা গেছে, কবরস্থানে যেসব নামফলক ছিল তার সবই ধসিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক কবর বের করে ফেলা হয়েছে। ছবিগুলোতে কবরের ভেতরের অংশ স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।
গাজা উপত্যকায় এর আগেও কবরস্থানের ওপর এমন নৃশংসতা ও মরহেদ চুরির ঘটনা ঘটিয়েছিল ইসরায়েলি সেনারা। গত মাসে গাজার মধ্যাঞ্চলের শেখ শাবান কবরস্থান বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। একই রকম বর্বরতা চলে উত্তরাঞ্চলের ফালুজা কবরস্থানেও।
সামরিক প্রয়োজনীয়তা ছাড়া ধর্মীয় উপসানলয় ও সমাধিক্ষেত্রে হামলা চালানো নিষেধ। যদি যুদ্ধকালীন কোনো পক্ষ সমাধিক্ষেত্রের ক্ষতিসাধন করে তাহলে এটি যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ বাধার পর গাজায় বর্বরতা শুর করে ইসরায়েলি সেনারা। অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা দাবি করেছে, সেখানে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছে ইসরায়েল।