চাপের মুখে থেকেই লাহোরে ম্যাচ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। হারলেই বিদায় এমন সমীকরণ মেনেই আগে ব্যাট করতে নেমেছিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। তবে এদিন কেবল জয়ের দিকে চোখ রাখলেই হচ্ছে না বাংলাদেশের। বরং নিশ্চিত করতে হবে রানরেটের সমীকরণটাও।
এশিয়া কাপের গ্রুপ ‘বি’ তে বর্তমানে বাংলাদেশের নেট রানরেট ঋণাত্মকের ঘরে। শূন্যের নিচে ঋণাত্মক দশমিক ৯৫১ এ অবস্থান করছে টাইগাররা। এমন অবস্থায় রানরেট বাড়াতে চাইলে বাংলাদেশের সামনে ছিল হিসেবের মারপ্যাঁচ। সেই সমীকরণের সামনে অবশ্য দুর্দান্ত বযাটিং করেছে বাংলাদেশ। রানের ফুলঝুড়ি ছড়িয়ে বাংলাদেশ থেমেছে ৩৩৪ রানে।
সুপার ফোরে ওঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সমীকরণ এখন অনেকটাই আয়ত্তের মধ্যে। রশিদ খান-হাসমত উল্লাহ শহিদীদের থামাতে হবে ২৭৯ রানের আগেই। এই ব্যবধানে জিতলে বাংলাদেশ আজই নিশ্চিত করবে পরের রাউন্ড।
সুপার ফোরে ওঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সমীকরণ এখন অনেকটাই সরল। রশিদ খান-হাসমত উল্লাহ শহিদীদের থামাতে হবে ২৭৯ রানের আগেই। এই ব্যবধানে জিতলে বাংলাদেশ আজই নিশ্চিত করবে পরের রাউন্ড।
সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের নেট রানরেট শ্রীলঙ্কাকে ছাড়িয়ে যাবে। গ্রুপের পরের ম্যাচটা তাই শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানের জন্য বাঁচা মরার লড়াই হবে। যারা জয় পাবে, তারাই যাবে সুপার ফোরে। শ্রীলঙ্কা জিতলে দুই ম্যাচে দুই হার নিয়ে পয়েন্টের হিসেবে বাদ পড়বে আফগানরা। আর আফগানিস্তান জিতলে রানরেট কমে যাবে লঙ্কানদের। সেক্ষেত্রে রানরেটের হিসেবে বাদ যাবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ওয়ানডেতে এত রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই আফগানিস্তানের। এর আগে কখনোই ৩০০ বা এর বেশি রানের স্কোর তাড়া করে ওয়ানডে জেতেনি আফগানিস্তান। তাদের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আরব আমিরাতের বিপক্ষে। সেবার তারা ২৭৪ রান তাড়া করে জিতেছিল। এ ছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৮৮ রান করতে পেরেছে আফগানরা।