টানা চতুর্থ মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হোসেন পাপন। তবে এবারই প্রথমবারের মতো এসেছেন মন্ত্রিসভায়। দায়িত্ব পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। পাপন মন্ত্রী হওয়ার পরপরই জানিয়েছেন দ্রুতই বিসিবির দায়িত্ব ছাড়তে চান। পাপন দায়িত্ব ছাড়লে বিসিবিতে তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন কে?
বিসিবির সাবেক তিন সভাপতি মন্ত্রীত্ব এবং বোর্ড একসঙ্গে চালিয়ে গেছেন। বিসিবি ও রাষ্ট্রীয় কোনো আইনেই এতে বাধা ছিল না। পাপনের ক্ষেত্রেও নেই। সাবেক সভাপতিরা ছিলেন ক্রীড়া ব্যতীত অন্য মন্ত্রণালয়ে। তাই স্বার্থের সংঘাতের সংকট তৈরি হয়নি। নাজমুল হাসান পাপন দায়িত্ব পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। বিসিবি মন্ত্রণালয়ের অধীভুক্ত একটি সংস্থা। তাই পাপনের মন্ত্রীত্ব এবং বিসিবি’র সভাপতিত্ব নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠেছে।
অবশ্য পাপনও বিসিবির দায়িত্ব ধরে রাখতে চান না। যত দ্রুত সম্ভব বিসিবি ছাড়তে চান তিনি। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার দিন পাপন বলেছিলেন, ‘বিসিবির সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই। আগেও আমাদের এখানে অনেক মন্ত্রী ছিলেন, যারা বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বিদেশেও আছে। কিন্তু সেটা ইস্যু না। আমার আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল, এই মেয়াদেই দায়িত্ব ছাড়ার। যেটা শেষ হবে আগামী বছর। আমি চেষ্টা করব এ বছর শেষ করা যায় কিনা।’
অনেকের ধারণা পাপন বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব ছাড়লে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মারশরাফি বিন মর্তুজা দায়িত্ব পাবেন। কেউ কেউ আবার বোর্ড পরিচালকদের নামও বলছেন। তবে পাপনের মতে, এই মুহুর্তে মাশরাফির কোনো সুযোগ নেই। বরং বোর্ড পরিচালকদের মধ্য থেকে কেউ আসতে পারেন বলে মনে করেন পাপন।
শপথ নেওয়ার একদিন পর গত শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমকে পাপন বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় একটা হতে পারে আইসিসির মেয়াদটা শেষ হয়ে গেলে তখন একটা চিন্তা করে ওদের সাথে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের ডাইরেক্টর আছে তাদের মধ্যে থেকে একজন হবে। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই।’
‘আইনে কোনো সমস্যা নেই এটাই হচ্ছে বড় কথা। কথা হচ্ছে একসাথে যদি দুটোতে থাকি তাহলে একটা স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে ক্রিকেটের প্রতি আমার দৃষ্টিটা একটু বেশি। এটা সকলের ধারণা এটা অস্বাভাবিক কিছু না।’
নতুন বিসিবির বোর্ড সভাপতি নিয়োগ নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চান না পাপন, ‘এখানে বেসিক কয়েকটা ব্যাপার আছে, প্রথম কথা হচ্ছে ইচ্ছা করলেই ছেড়ে দেওয়া যায় না এখন। সেটা আমরা জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রেও দেখেছি দুই বছর তারা প্রায় ব্যান (নিষিদ্ধ), শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও এবার দেখেছি। আমি মনে করি এমন কিছু তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না, যেটা দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করতে পারে।’
‘একটা অপশন ওদের সাথে আমার কথাটা বলতে হবে। এখানে দুটো জিনিস আছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে আমাদের মেয়াদ যেটা সবসময় আইসিসি চায় তাদের ইলেকটেড বডির (নির্বাচিত কমিটি) ফুল মেয়াদটা। আর একটা হচ্ছে আইসিসির মেয়াদ।’-আরো যোগ করেন তিনি।