এই প্রথমবার এশিয়া কাপ খেলতে নামছে নেপাল ক্রিকেট দল। কিন্তু আপনারা কি জানেন, যে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে ভর করে নেপাল এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টের যোগ্যতা অর্জন করেছে, তাদের বার্ষিক আয় কত? প্রতিটা ম্যাচ খেলে তাঁরা কত টাকা করেই বা পান?
ক্রিকেট খেলায় যে টাকা-পয়সা রয়েছে, সেটা আজ আর কারোর অজানা নয়। কিন্তু বিশ্বের প্রতিটা ক্রিকেট বোর্ডের আভিজাত্য একইরকম নয়। একজন ভারতীয় ক্রিকেটার যে অর্থ উপার্জন করেন, সেটা নেপালের একজন ক্রিকেটার কল্পনাও করতে পারবেন না। সত্যি কথা বলতে কী, একজন নেপালি ক্রিকেটারের সর্বাধিক বেতন আমাদের একজন মধ্যবিত্তের থেকেও যথেষ্ট কম।
ভারত কিংবা অন্য দেশের মতো নেপালি ক্রিকেটারদেরও বোর্ডের সঙ্গে বার্ষিক চুক্তি রয়েছে। নেপালি ক্রিকেটারদের মোট তিনটে ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়েছে। সেইমতোই তারা বোর্ডের থেকে বেতন পান। কিন্তু, তারা বছরে কত টাকা উপার্জন করেন?
চুক্তি অনুসারে নেপালের ক্রিকেটাদের তিনটে ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এ গ্রেডের ক্রিকেটাররা প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা করে স্যালারি পান। বি গ্রেডের ক্রিকেটাররা প্রতি মাসে ৫০ হাজার এবং সি গ্রেডের ক্রিকেটাররা প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা করে পেয়ে থাকেন।
এবার আপনারা হয়ত প্রশ্ন করতেই পারেন, এই টাকা মধ্যবিত্তের চেয়ে কীভাবে কম হল? এবার তাহলে সেই প্রশ্নের উত্তরে আসা যাক। নেপালে যে ক্রিকেটাররা ৬০,০০০ টাকা করে পান, ভারতীয় মুদ্রায় সেই অঙ্কটাই মাত্র ৩৭,৭১৯ টাকায় এসে দাঁড়ায়।
ঠিক এভাবেই বি গ্রেডের ক্রিকেটাররা ৩১,৪১২ এবং সি গ্রেডের ক্রিকেটাররা মাসে ২৫ হাজার টাকা করে উপার্জন করেন। ভারতে একজন সরকারি চাকুরিজীবী অন্তত এর থেকে বেশিই রোজগার করে থাকেন। একটি পরিসংখ্যানে জানতে পারা গিয়েছে, ভারতে সরকারি চাকুরিজীবীদের গড় বার্ষিক আয় ৫ লাখ টাকা।
চুক্তি অনুসারে এই স্যালারির পাশাপাশি নেপালের ক্রিকেটারা ম্যাচ প্রতিও উপার্জন করতে পারেন। একটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার জন্য নেপালি মুদ্রায় ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া টি-২০ ম্যাচের জন্য দেওয়া হয় ৫,০০০ টাকা। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় এই টাকার অঙ্কটা যথাক্রমে ৬,২৮৬ টাকা এবং ৩,১৪৩ টাকা দাঁড়ায়।