যে সংকটে পড়ল ইতালি

উত্তর আফ্রিকা, বলকান ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে বানের মতো আসতে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপে ব্যাপক সংকট পরিস্থিতি পার করছে ইতালি। দেশটির একটি সীমান্তবর্তী শহরের মেয়রের মতে, সরকারের উচিত অবিলম্বে সীমান্তবর্তী শহরগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা।

সরকারি সরকারি তথ্য অনুযায়ী চলতি ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে এসেছেন ১ লাখ ৮ হাজারেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী। ইতালির ইতিহাসে এর আগে বছরের প্রথম আট মাসে তো বটেই, গোটা বছরেও এত বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী আগমনের রেকর্ড নেই।

এরমধ্যে গত এক সপ্তাহে ইতালির সর্বদক্ষিণের দ্বীপ ল্যাম্পেদুসায় ৪ হাজার ২০০ জনেরও অধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী এসেছেন বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন ল্যাম্পেদুসার পুলিশ প্রধান ইমানুয়েলে রিসিফারি।

স্লোভেনিয়ার সীমান্তবর্তী ইতালীয় শহর ত্রিস্তের মেয়র রবের্তো ডিপিয়াজ্জা ইতালীয় সংবাদমাধ্যম করিয়েয়েরে দেল্লা সেরাকে বলেন, ‘আমি ১৯৯০ সাল থেকে অভিবাসনপ্রতাশীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। আমার গোটা জীবনে মাত্র আট মাসে এত সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীর আগমন কখনও দেখিনি।’ ‘ইতালিতে এখন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগ্রাসন চলছে। এই আগ্রাসন বন্ধে সরকারের উচিত সীমান্তবর্তী শহরগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা।’

এদিকে, ল্যাম্পেদুসাসহ ইতালির বিভিন্ন সীমান্তবর্তী শহরের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে দিন দিন উপচে পড়ছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা, অনেক কেন্দ্রেই আর নতুন কোনো অভিবাসনপ্রত্যাশী নেওয়ার জায়গা নেই।

আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা রেড ক্রসের ইতালি শাখার প্রেসিডেন্ট রোসারিয়ও ভালাস্ত্রো সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আমার মনে হয় কেবল ইতালিতে নয়, ইউরোপের অন্যান্য উন্নত দেশগুলো বর্তমানে একই সমস্যায় ভুগছে। আমার আরও মনে হয়, সরকারের উচিত অভিবাসন নীতিকে আরও আধুনিক ও মানবিক বোধপূর্ণ করে তোলা এবং এজন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া।’