এশিয়া কাপ দলে ছিলেন পেসার এবাদত হোসেন। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজ চলাকালে চোটে পড়েছিলেন এবাদত হোসেন। সেই চোট কাটিয়ে এখনও পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি এই পেসার। তাই আসন্ন এশিয়া কাপে খেলা হচ্ছে না তার। এবাদতের এমন সর্বনাশে পৌষ মাস আরেক পেসার তানজিম হাসান সাকিবের।
জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবারের মতো ডাক পেলেন তরুণ এই পেসার। আজ (মঙ্গলবার) আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
গেল মাসে ঘরের মাঠে আফগান সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে চলাকালে ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন এবাদত। আফগানিস্তানের ইনিংসের ৪২তম ওভারের তৃতীয় বলটি করার সময় লাফ দিতে গিয়ে আম্পায়ার গাজী সোহেলের কাঁধে বাড়ি খায় এবাদতের হাত। আর এমন ধাক্কা খেয়ে রানআপে নিজেকে ঠিকঠাক থামাতে পারেননি। ফলে পেছন ঘুরে পড়ে যান মাটিতে, তখনই পায়ে আঘাত পান এবাদত।
এরপর তাকে ৪৮ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কিন্তু এই সময়ে চোট গুরুত্বর অনুধাবন করতে পেরে এই পেসারকে নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করেন ফিজিও। ধারণা করা হয়েছিল, এশিয়া কাপ দিয়ে আবারও মাঠে ফিরবেন তিনি। তাই আসন্ন এই আসরের স্কোয়াডেও রাখা হয়েছিল তাকে। তবে পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় এই পেসারকে নিয়ে ঝুঁকি নিচ্ছে না টিম ম্যানেজমেন্ট।
এবাদতের শূন্য জায়গা পূরণ করার জন্য অবশ্য একাধিক বিকল্প ছিল বিসিবির হাতে। সেই তালিকায় ছিলেন তানজিম সাকিব, খালেদ আহমেদের মতো পেসাররা। তবে সাম্প্রতিক ফর্ম আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিবেচনায় খালেদের তুলনায় ঢের এগিয়ে ছিলেন সাকিব। তাছাড়া এই তরুণ পেসারকে বিকল্প হিসেবে আগে থেকেই এশিয়া কাপের অতিরিক্ত ৩ সদস্যের স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল। শেষমেশ এবাদতের চোটে কপাল খুলে গেল যুব বিশ্বকাপ জয়ী এই ক্রিকেটারের।
সদ্য সমাপ্ত ইমার্জিং এশিয়া কাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কারই পেলেন সাকিব। শ্রীলঙ্কার মাটিতে অনুষ্ঠিত এই আসরে বল হাতে রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন তিনি। মোট ৩ ম্যাচ খেলে শিকার করেছিলেন ৯ উইকেট। যেখানে ওমানের বিপক্ষে ১৮ রানে পেয়েছিলেন ৪ উইকেট।
এখনও পর্যন্ত লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ম্যাচ খেলেছেন ৩৭টি। যেখানে প্রায় ২৯ গড়ে শিকার করেছেন ৫৭ উইকেট। এই সময়ে তিনি বোলিং করেছেন ৫.৪৪ ইকোনোমিতে। ডানহাতি মিডিয়াম পেসের সঙ্গে লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট হাতেও কার্যকর সাকিব। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৩৭ ম্যাচে প্রায় ১২ গড়ে করেছেন ১৫৩ রান।