ওয়াগনার বিক্ষোভ নিয়ে যখন রাশিয়ায় বিক্ষোভের আগুন যখন কিছুটা স্তীমিত, সেই সময় প্রকাশ্যে এলো অন্যতম বড় খবর। রিপোর্টে প্রকাশ, রাশিয়ায় ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনর মৃত্যু হয়েছে বিমান দুর্ঘটনায়।
ইয়েভজেনি প্রিগোজিন যে বিমানে ছিলেন, সেটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ার আগে ৩০ সেকেন্ড সব ঠিকঠাক ছিল। রাশিয়ার অসামরিক বিমান সংস্থার তরফে জানানো হয়, ইয়েভজেনি প্রিগোজিন যে বিমানে ছিলেন, সেখানে আরও ১০ জন যাত্রী ছিলেন। মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গে যাওয়ার সময় ওই রুশ বিমানটি ভেঙে পড়ে একটি গ্রামে।
সেন্ট পিটার্সবার্গে বিমান ভেঙে পড়ার খবর পেতেই তা নিয়ে ছড়ায় চাঞ্চল্য। তবে কী কারণে ইয়েভজেনি প্রিগোজিনর বিমানটি ভেঙে পড়ে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও যাই হোক না কেন, তা মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যায় বলে রিপোর্টে জানা যায়।
ইয়েভজেনি প্রিগোজিন-এর সঙ্গে ওই বিমান যারা ছিলেন, তাদের প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। চলতি বছরের জুন মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং রুশ সেনার বিরুদ্ধে জুন মাসে সুর চড়াতে শুরু করেন ওয়াগনর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।
যা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে যায় প্রায় গোটা বিশ্ব জুড়ে। ওয়াগনার সংশ্লিষ্ঠ একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে দাবি করা হয়, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হামলায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। যদিও এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
জুন মাসে রুশ সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি ব্যর্থ বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন প্রিগোঝিন। তবে বেলারুশের মধ্যস্থতায় সেসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রিগোশিনসহ তার বাহিনীর সবাই বেলারুশে নির্বাসনে যান। শর্ত ছিল, প্রিগোঝিন সেখানে থাকলেই একমাত্র তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে না রাশিয়া।