সৌদি আরবে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে একটি সেতুর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বাসের। এতে বাসটি উল্টে আগুন লেগে যায়। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহত সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জন। এর মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রী বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এ দুর্ঘটনায় আহত ১৭ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সৌদি আরবে নিহত ১৩ বাংলাদেশি যাত্রীর পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নোয়াখালীর সেনবাগের মো. শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আওয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদনগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুরের কালু মিয়ার ছেলে রুক মিয়া, কক্সবাজারের মহেশখালীর সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লার দেবীদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কাওসার মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ নাজমুল, যশোর ইস্কান্দারের ছেলে রনি ও কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানিয়েছেন, সৌদি আরবে যে বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই বাসে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৫ জন। বাস দুর্ঘটনায় ১৮ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৭ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া বাসে ভিন্নদেশি ১২ জন যাত্রীদের মধ্যে ৫ জনকে মৃত এবং ৭ জনকে আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, সোমবার আসির প্রদেশ এবং আভা শহরের সঙ্গে সংযোগকারী একটি সড়কে বাসটির ব্রেক ফেল হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কা যাচ্ছিলেন।
সোমবার (২৭ মার্চ) সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে পবিত্র মক্কা নগরী যাওয়ার পথে হাজিদের বহনকারী একটি বাস ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে আগুন ধরে যায়। এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে।