হন্ডুরাস চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। তাইওয়ানকে স্বীকৃতির বিষয়ে আগের অবস্থান থেকে সরে আসারও ঘোষণা দিয়েছে। ঘটনাটি এমন সময় ঘটল, যখন যুক্তরাষ্ট্র-চীন তাইওয়ান নিয়ে চরম কূটনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। হন্ডুরাসের এই ঘটনা তাইওয়ানের ওপর চীনের দাবিকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বিশ্বব্যাপী মার্কিন নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। ওয়াশিংটন টাইমস।
এদিকে হন্ডুরাসের এই সিদ্ধান্ত তাইওয়ানের নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। তারা বলছেন, মধ্য আমেরিকার দেশ হন্ডুরাস আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাইওয়ানের গণতন্ত্রের প্রতি সমর্থন চালিয়ে যেতে বিলিয়ন ডলার দাবি করেছে।
এই ঘটনা পশ্চিমে চীনের প্রভাবের ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করল। হন্ডুরাসের এই সিদ্ধান্ত তাইওয়ানের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থনকে আরও সংকুচিত করবে। এটি মার্কিন-চীন সম্পর্কের অবনতি ঘটাবে এবং ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তারে নতুন স্নায়ুযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি করবে।
খবরে বলা হচ্ছে, তাইওয়ানকে এখন সারা বিশ্বের মাত্র ১৩টি দেশ কূটনৈতিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হন্ডুরাসের পদক্ষেপ বেইজিংয়ের কমিউনিস্ট শাসনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকী বিজয়ের প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ চীনা সরকার স্বাধীনভাবে শাসিত তাইওয়ানকে চীনের সার্বভৌম ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে।
লাতিন আমেরিকায় চীনের প্রভাব বিস্তারের চিত্র সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমানভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। বেইজিং তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে বেশ কয়েকটি দেশকে বড় সহায়তা প্যাকেজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব সম্পর্কে অনুরূপ উদ্বেগ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা সতর্কতা দিয়েছেন। তাদের দাবি, বেইজিং ক্রমবর্ধমান সামরিক এবং আর্থিক প্রভাব ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে আফ্রিকা, ইউরোপ এবং এশিয়ায় আমেরিকান নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।