ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আজ ঢাকা তো কাল দুবাই। দুদিন পর এসে ম্যাচ খেলা।
রোবটের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের তুলনা করলে খুব বেশি ভুল হবে না। ক্লান্তি যেন তাকে স্পর্শ করতে পারে না। বিমানেই কাটে লম্বা সময়। এই তো আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের আগে-পরে দুবার সিলেট থেকে ঢাকায় এলেন এই বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার।
এবার বাংলাদেশ বিমান সাকিবকে তাদের শুভেচ্ছাদূত বানাল। আগের দিন সিলেটে ম্যাচ খেলে মঙ্গলবার আবার ঢাকায় এসেছিলেন সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। এত চাপ কীভাবে নিতে পারেন? সাকিব জানালেন, যে পারে, সে সব পারে।
আয়ারল্যান্ড সিরিজের দুদিন আগে দুবাই থেকে দেশে ফেরেন সাকিব। এরপর সিলেটে প্রথম ওয়ানডে শেষে পরের দিন সকালে ঢাকায় এআইইউবি’র সমাবর্তনে যোগ দেন। দ্বিতীয় ওয়ানডের পর কাল আবার এলেন ঢাকায়। খেলার মধ্যে এত বেশি ভ্রমণের ধকল কীভাবে সামলান? সাকিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে পারে, সে সবই পারে।’
বিমান বাংলাদেশের নিজস্ব দল থাকলে সেই দলের অধিনায়কত্ব করবেন কিনা- এমন প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘তেমন হলে অধিনায়ক, কোচ সবই হব।’ ছোটবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় আকাশে বিমান উড়ে গেলে সাকিব ও তার বন্ধুরা কোন দেশের বিমান, এই নিয়ে কথা বলতেন- এভাবেই শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
এদিকে কখনো পাইলট হতে চেয়েছেন কি না জানতে চাইলে সাকিব বলেন, ‘ছোটবেলায় তো অনেক কিছুই হতে চেয়েছি। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট অনেক কিছুই।’