সেঞ্চুরি না পেলেও আক্ষেপ নেই অভিষিক্ত হৃদয়ের

১৪০তম ক্রিকেটার হিসেবে শনিবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ ওয়ানডে দলে অভিষেক হয়েছিল তাওহীদ হৃদয়ের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ব্যাট হাতে হৃদয় দেখিয়েছেন নিজের ব্যাটিং ক্যারিশমা। অল্পের জন্য ম্যাজিক ফিগারের দেখা পাননি। অভিষেক সেঞ্চুরি থেকে যখন তিনি মাত্র ৮ রান দূরত্বে, তখনই তাকে ফিরতে হয়। তবে অভিষিক্ত হৃদয়ের এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই।

এবার সেঞ্চুরি না পেলেও ভবিষ্যতে ম্যাজিক ফিগার পূর্ণ করার কথা উল্লেখ করে তরুণ এই টাইগার ক্রিকেটার বলেন, ‘ম্যাচের শুরুতেও আমি আউট হতে পারতাম। যেটা হয়েছে তাতেই আলহামদুলিল্লাহ, শুকরিয়া। এটা হয়তো রিজিকে ছিল। ভবিষ্যতে হবে ইনশাআল্লাহ। আসলেই কোনো আক্ষেপ নেই। অভিষেকে এত রান করতে পারব, সেটিও চিন্তা করিনি। ভবিষ্যতে যাদের অভিষেক হবে তাদের জন্য শুভকামনা, তারা যেন আরও ভালো করে।’

বিপিএলে নজরকাড়া পারফর্ম করা তাওহীদ হৃদয়ের জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল সদ্য ইতিহাসগড়া ইংল্যান্ড সিরিজে। সফরকারীদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বড় রান না পেলেও, হৃদয় নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছিলেন। ওয়ানডে অভিষেকটাও ব্যাটের পর দলের জয়েই পুরোপুরি রাঙিয়ে নিলেন। হয়েছেন ম্যাচসেরাও। এরপর সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি।

dhakapostহৃদয়ের হঠাৎ করেই এমন বদলে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলছিলেন, ‘এর আগের একটি বিপিএলে ভালো খেলতে পারিনি। তখন থেকেই চিন্তা করেছিলাম, বদলানো দরকার। অনুশীলন থেকে শুরু করে মানসিক চিন্তা-ভাবনা, সবখানেই চেষ্টা করেছি যতটুকু বদলানো যায়। এরপর তো সদ্য সমাপ্ত বিপিএল আসরেই তার ফল পেয়েছি।’

বদলে যাওয়ার সময়টাতে কার সঙ্গে কাজ করেছেন এমন প্রশ্নে হৃদয়ের জবাব, ‘অনেকের সঙ্গেই কাজ করেছি। এইচপিতে ছিলাম, ঘরোয়াতে খেলেছি। সুজন স্যারের সঙ্গে কথা হতো। সোহেল স্যার এবং এহসান স্যারও ছিলেন। তাদের সঙ্গে সবসময় কথা হয়েছে।’