‘দিল্লিকা লাড্ডু জো খায়া ও পস্তায়া জো নেহি খায়া ও ভি পস্তায়া’
অর্থ: ‘দিল্লির লাড্ডু যে খেল সেও পস্তালো, আর যে খেল না সেও পস্তায়!
বিয়ে করাকে পুরুষেরা ‘দিল্লি কা লাড্ডুর সঙ্গে তুলনা করেন। কারণ যারা অবিবাহিত তারা মনে করে যে, বিয়ে একটা খুবই আনন্দের বিষয়। বিবাহ পরবর্তী জীবন সম্পর্কে তার ধারণা থাকে না। এজন্য সে মনে করে এটা তেমন কিছু না। তাই যখন সে অবিবাহিত থাকে তখন আশেপাশে বিবাহিতদের দেখে সে মনে করে তাদের একটা পরিবার আছে এবং তারা সুখে আছে। এই হলো বিয়ের পূর্বে পস্তানোর কারণ।
আর বিয়ের পরেও মানুষ পস্তায়। কারণ, তখন তাকে বিভিন্ন দায়িত্ব নিতে হয়। বিয়ে বাবদ বিভিন্ন খরচ করতে হয়। এছাড়া স্ত্রীর বিভিন্ন শখ- আহ্লাদ মিটাতে হয়। সঙ্গে সময়টাও দিতে হয় পুরোপুরি। অনেক সময় তা মেটাতে না পারলে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন কারণে ঝগড়া হয়। এজন্যই পুরুষেরা বিয়েকে দিল্লি কা লাড্ডুর সঙ্গে তুলনা করে।
একটু ভাবুন তো যদি বিয়ে নামের লাড্ডু দুটিই খেয়ে বসেন বা করে বসেন; তাহলে সময় দেবেন কী করে? কিন্তু পাশ্ববর্তী দেশে ভারতের এক বুদ্ধিমান স্বামী দুই বিয়ে করেও স্ত্রীদের সময় দিচ্ছেন দেদারসে। শুনুন তাহলে তার কৌশল-
দুই স্ত্রীকে প্রতিদিন সময় দেওয়া সম্ভব হয় না স্বামীর। এজন্য অভিনব এক পদ্ধতি বের করলেন বুদ্ধিমান স্বামী। এতে দুই স্ত্রী সপ্তাহে তিন দিন করে স্বামীর সান্নিধ্য পান। প্রথম তিন দিন স্বামীকে কাছে পান প্রথম স্ত্রী। পরবর্তী তিন দিন দ্বিতীয় স্ত্রী। সময়ের এই সমবণ্টনের ফলে তাদের কারো মধ্যে অশান্তি হয় না বলে দাবি।
এখানেই শেষ নয়, সপ্তাহে ৬ দিন স্ত্রীদের সঙ্গে সময় কাটানোর পর রোববার ছুটি পান তিনি। কারণ এ দিনটিতে স্বামী যাতে তার ইচ্ছে মতো ঘুরতে পারেন এজন্য স্ত্রীরা তাকে ছুটি দিয়েছেন।
আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে ভারতের মধ্য প্রদেশের রাজ্য গোয়ালিয়রের তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় ওই যুবকের। তারা দু’বছর সংসার করেন। তাদের এক পুত্রসন্তানও রয়েছে। এরপর করোনা মহামারির সময় স্ত্রী এবং ছেলেকে বাবার বাড়িতে রেখে আসেন ওই যুবক। কর্মস্থলে তিনি এক সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন যুবক। দ্বিতীয় স্ত্রীর কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।