রোজ ৯টা থেকে ৫টার চাকরি ছিল। তবে মাইনেটা মোটেই খারাপ নয়। বরং মাইনের অঙ্ক শুনলে একটু ভিরমি খেতে হতে পারে।
স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বেশ কৃতী তাদের কর্মজীবনে। কিন্তু সেসব তো অন্যের অধীনে দাসত্ব করা! তাতে কী আর সুখ আছে?
তাই দুজনে মিলে সিঙাড়ার ব্যবসা শুরু করলেন, আর তাতে আয়ের অঙ্ক? সেটা শুনলেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড়! সম্প্রতি এক দম্পতির এই উদ্যোগই ভাইরাল হল নেটদুনিয়ায়।
শিখর বীর সিং ও নিধি সিংয়ের পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবন। কর্মজীবনেও তারা বেশ প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। শিখর বীর সিং প্রথমে বায়োটেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। পরে হায়দ্রাবাদের ইনস্টিটিউট অফ লাইফ সায়েন্স থেকে এম টেক করেন।
পড়াশোনা শেষে বায়োটেকনোলজি সংস্থা বায়োকনের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট পদে যোগ দেন শিখর। অন্যদিকে নিধি কর্মজীবনের শুরুতে ছিলেন বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েট। সেখান থেকে পরে গুরগাঁওয়ের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থায় যোগ দেন তিনি। সেখানে বছরে ৩০ লাখ ছিল বেতন।
তবে সেই সব ছেড়ে দুজনেই চলে আসেন সিঙাড়ার ব্যবসায়! কত আয় সেখান থেকে তাদের? শুনলে সত্যি ভিরমি খেতে হবে। রোজ ১২ লাখ টাকার সিঙাড়া বিক্রি হয় তাদের। প্রতিদিন ৩০ হাজার সিঙাড়া বানানো হয় তাদের হেঁসেলে।
তবে এর জন্য শুধু চাকরি নয়। ছাড়তে হয়েছিল তাদের স্বপ্নের ফ্ল্যাটটিও। ৮০ লাখ টাকার ফ্ল্যাট একরাত থাকার পরেই ছেড়ে দেন দারা। সেই টাকায় বেঙ্গালুরুতে একটি ফ্যাক্টরি খোলেন।
২০১৬ সাল থেকে এভাবেই চলছে তাদের ‘সমোসা সিং’এর বিশাল ব্যবসা। সিং দম্পতির নাম অনুসারেই সমোসা সিং নাম দেওয়া হয় দোকানের। ভারতের অন্যতম প্রিয় খাবারকে বেছে নেওয়া হয় ব্যবসার জোর হিসেবে।