টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড হোয়াইটওয়াশ হয়েছেন। ১৩৭ বছর আগে ক্রিকেটে হোয়াইটওয়াশ শব্দের প্রথম ব্যবহার করে ইংল্যান্ড। সে বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের সবগুলো ম্যাচ জিতে অহংকারে আকাশে উড়ছিল ইংলিশরা। তাদের সেই আভিজাত্য এবার বাংলাওয়াশের স্বাদ পেল। অথচ তারাই কিনা হোয়াইটওয়াশ কি জিনিস ভুলে গিয়েছিল।
মঙ্গলবার সেই স্বাদ আবার মনে করিয়ে দিল টাইগাররা।
দুই ম্যাচের সিরিজে থ্রি লায়ন্সরা সবশেষ হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল সাত বছর আগে। আর তিন ম্যাচের সিরিজে সবশেষ হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ৯ বছর আগে।
ইংল্যান্ডকে নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে চারবার প্রতিপক্ষকে একাধিক ম্যাচের সিরিজে বাংলাওয়াশের স্বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ। তিন সংস্করণ মিলিয়ে সংখ্যাটা ২৩ বার। শুরুটা হয়েছিল ২০০৬ সালে কেনিয়াকে দিয়ে, যার সর্বশেষ সংযোজন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
৫০ ওভারের ফরম্যাটে বাংলাদেশ বেশ শক্তিশালী একটি দল। আর তাই এই সংস্করণেই সর্বোচ্চ ১৬ বার প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাইয়ের স্বাদ দিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দুই সংস্করণ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞতা হলো সাত বার। টেস্টে তিন আর টি-টোয়েন্টিতে ৪ বার। ২৩ ধবলধোলাইয়ের মধ্যে ১৬টি দেশে, ৭টি প্রতিপক্ষের মাঠে।
২০০৬ সালে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট টি টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের অভিষেক হয়। এর পরও ৬ বছর পর প্রতিপক্ষকে প্রথমবার ধবলধোলাই করার স্বাদ পায় টিম টাইগার্স। এই বাংলাওয়াশে সবচেয়ে মজার বিষয়টি হলো, সংক্ষিপ্ত সংস্করণে বাংলাদেশ যে চার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিয়েছে তার প্রত্যেকটিতে ছিলেন আলাদা আলাদা অধিনায়ক।
সর্বপ্রথম ২০১২ সালে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে আয়ারল্যান্ডকে তাদেরই মাটিতে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দেয় বাংলাদেশ। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে তিন ম্যাচের সিরিজে এতদিন সেটাই ছিল ধবলধোলাইয়ের একমাত্র ঘটনা। এবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এর শিকার হলো। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
এর মাঝে আরও দুবার প্রতিপক্ষকে বাংলাওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। ২০২০ সালে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে জিম্বাবুয়ে ও ২০২২ সালে নুরুল হাসান সোহানের সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বাংলাওয়াশ করে। তবে দুটি সিরিজই ছিল দুই ম্যাচের সিরিজ। মাহমুদউল্লাহ জিম্বাবুয়েকে হারান ঘরের মাঠে আর গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে আরব আমিরাতে সোহান হারান স্বাগতিক আরব আমিরাতকে।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের চার ধবলধোলাইয়ের কোনটি টাইগার সমর্থকদের হৃদয়ে গেঁথে থাকবে তা আশা করি খুঁজে বের করতে হবে না।