ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। এবার বাংলাদেশের সামনে আবারও ইতিহাস গড়ার হাতছানি।
মঙ্গলবার তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে জস বাটলারদের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন টাইগাররা। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর ৩টায় ম্যাচটি শুরু হচ্ছে।
এর আগে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড জিতেছে ওয়ানডে সিরিজ। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটি জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেন ইংলিশরা। চট্টগ্রামে শেষ ওয়ানডে জিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামে টি-২০ সিরিজের প্রথমটিতে ৬ উইকেটের জয় পায় নাজমুল হোসেন শান্তের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। শান্ত ৫১ রানের সুনামী ইনিংস খেলেন মাত্র ৩০ বলে। দ্বিতীয় টি-২০ জিতে নেয় ৪ উইকেটে। ম্যাচটি জেতে মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে। মিরাজের স্পেল ৪-০-১২-৪! ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং— দুই ম্যাচের তিন বিভাগের কোনোটিতেই বাটলার বাহিনীকে পাত্তা দেননি সাকিবরা।
শেষ ওয়ানডে জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে টি-২০ সিরিজে খেলতে নামে বাংলাদেশ। সাকিবের নেতৃত্বে তরুণ ক্রিকেটাররা মেলে ধরেন নিজেদের। দলে টাইগার অধিনায়ক সাকিব ছাড়া আর কোনো সিনিয়র ক্রিকেটার নেই। একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার নিয়ে স্বপ্নের ক্রিকেট খেলছে সাকিব বাহিনী। অবশ্য অধিনায়ক সাকিবকে পেছন থেকে সহায়তা করছেন হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। শ্রীলংকান বংশোদ্ভূত হাথুরুসিংহে থিংক ট্যাংকার হিসেবে পেছন থেকে কাজ করছেন। নতুন করে দায়িত্ব নেওয়ার পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হাতুরার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট।
ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে ২-১ ব্যবধানে। কিন্তু ওই সিরিজেই তিনি তামিম বাহিনীকে গুছিয়ে দিয়েছেন। বদলে দিয়েছেন মানসিকতা। তৈরি করে দিয়েছেন লড়াকু মেজাজ। ওয়ানডে হারলেও টি-২০ সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। সাকিবসহ গোটা দলকে তিনি আত্মবিশ্বাসের চূড়ায় টেনে তুলেছেন তার ক্রিকেটীয় মেধা দিয়ে। ক্রিকেটারদের নিজেদের মেলে ধরার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন, যাতে আত্মবিশ্বাসী ক্রিকেট খেলতে পারেন। খেলছেনও নাজমুল শান্ত, রনি তালুকদার, তৌহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদরা।