জাতীয় দলের জার্সি গায়ের তোলার এখনও সুযোগ পাননি। এর মাঝেই উসমান খান বাংলাদেশে এসেছিলেন বিপিএল খেলতে। গত জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে মাঠে নেমেই তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন। এবার তার ব্যাটের তাণ্ডব দেখা গেল পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল)। মাত্র একদিন আগে সতীর্থ রাইলি রুশোর গড়া রেকর্ড ভেঙে ফেলেছেন উসমান। ২৭৯ স্ট্রাইকরেটে তিনি মূলত প্রতিপক্ষ বোলারদের কচুকাটা করেছেন।
এর আগের ম্যাচে মুলতান সুলতান্সের আরেক আফ্রিকান ক্রিকেটার রুশো ৪১ বলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন। সেই রেকর্ড টিকল না ২৪ ঘন্টাও। তারই সতীর্থ সেই রেকর্ড ভেঙেছেন মাত্র ৩৬ বলে। একইসঙ্গে আগের দিন গড়া আরও বেশ কয়েকটি রেকর্ড এই ম্যাচে নতুন করে তৈরি হয়েছে।
শনিবার (১১ মার্চ) রাতে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে নেমেছিল মুলতান সুলতান্স। সেই ম্যাচে আগে ব্যাট করে তারা টুর্নামেন্টটির সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে। উসমানের ঝড়ো সেঞ্চুরি, মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটি ও টিম ডেভিডের ৪৩ রানে বিধ্বংসী ইনিংসে তারা রান তোলে ২৬২। অভিজ্ঞ পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজ ছাড়া কোনো বোলারই পাত্তা পাননি মুলতানের ব্যাটারদের সামনে।
এদিন ওপেনিংয়ে নেমে রিজওয়ানের সঙ্গে ১৫৭ রানের জুটি গড়েন উসমান। এই ম্যাচে তিনি ব্যক্তিগত দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন। প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। পিএসএলে দ্রুততম সেঞ্চুরির তালিকায় প্রথম তিনটিই মুলতানের ব্যাটসম্যানদের। তবে ২০ ওভারের ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ক্রিস গেইলের। ২০১৩ আসরের আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের হয়ে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৩০ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা।
এদিন ম্যাচের তৃতীয় ওভারে আইমল খানকে টানা তিন চারে হাত খুলেন উসমান। ফিফটি পেতে ২২ বল খেললে পরের মাত্র ১৪ ডেলিভারিতেই তিনি সেটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দেন। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের চিত্র এই পরিসংখ্যানেই ফুটে ওঠে। তার সঙ্গে তাল মেলান রিজওয়ান এবং শেষদিকে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে বড় রানের টার্গেট দাঁড় করায় মুলতান। যদিও তাদের এই রানও যেন কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের সামনে যথেষ্ট ছিল না। উমর ইউছুফ ও ইফতিখার আহমেদের ফিফটির সঙ্গে উমর আকমলের ঝড়ো ব্যাটিং কোয়েটাকে প্রায় জয়ের বন্দরে নিয়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের এই দৌড় থামে মাত্র ৯ রান দূরত্বে থেকে। এজন্য অবশ্য মুলতান বোলার আব্বাস আফ্রিদির অনন্য ভূমিকা রয়েছে। ওভার প্রতি ১১ গড়ে রান দিলেও তিনি তুলে নিয়েছেন ৫টি উইকেট।
এই ম্যাচে টুর্নামেন্টে দু’দল মিলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও হয়ে গেছে। ব্যাটিংয়ে ৫১৫ রান তুলে নিয়েছে। তবে অল্পের জন্য হার না মানলে কোয়েটা সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডও গড়ে ফেলতে পারত। এর আগে রুশোর সেঞ্চুরি করা ম্যাচে দু’দলের ব্যাটিংয়ে টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ৪৮৭ রান এসেছিল।