ইন্দোনেশিয়াসহ অন্তত চারটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সঙ্গে বিতর্কিত আব্রাহাম চুক্তি সম্প্রসারণের জন্য কাজ করছে ইসরায়েল। সম্প্রতি ইসরায়েলি দৈনিক ‘ইসরায়েল হাইওম’ এই খবর প্রকাশ করেছে।
মৌরিতানিয়া, সোমালিয়া, নাইজার এবং ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে
ইসরায়েল হাইওম জানিয়েছে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন মৌরিতানিয়া, সোমালিয়া, নাইজার এবং ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানও এই প্রচেষ্টায় জড়িত বলে জানা গেছে।
এছাড়া নেতৃস্থানীয় মার্কিন কর্মকর্তা আমোস হোচস্টেইনও এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত আছেন। হোচস্টেইন বেনেট-লাপিদ সরকারের সময় ইসরায়েল-লেবানন সামুদ্রিক চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন।
ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের সঙ্গে তথাকথিত আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে স্বাক্ষর করেছিল। পরবর্তীতে সুদান এবং মরক্কোও একই বছর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়।
আরব লীগ জানিয়েছে, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরেই কেবল ইসরায়েলের সঙ্গে সদস্য রাষ্ট্রগুলো সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি করতে পারে। এর আগে নয়।
ইসরায়েল ১৯৯৯ সালে মৌরিতানিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। তবে ২০০৮ সালে গাজা যুদ্ধের সময় মৌরিতানিয়া এই সম্পর্ক ছিন্ন করে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সোমালিয়ার কখনোই কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না। তবে ইসরায়েল হাইওম পত্রিকার প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ বর্তমানে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী।
এদিকে ইন্দোনেশিয়া এবং নাইজারও ইসরায়েলের সঙ্গে কখনই আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখেনি।
আব্রাহাম অ্যাকর্ডস নিয়ে ফিলিস্তিনিরা ক্ষুব্ধ। তাদের বক্তব্য এই চুক্তির মাধ্যমে তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে।
সূত্র: দ্য নিউ আরব