নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে ভারতকে প্রায় হারিয়ে দিচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে অতিমানবীয় ইনিংসে প্রায় হাত ফস্কে যাওয়া ম্যাচ একাই জিতিয়ে দেন দীনেশ কার্তিক। ভারতীয় উইকেটকিপার ব্যাটারের মারকুটে এমন ব্যাটিং বাংলাদেশি সমর্থকদের মনে এখনো দুঃস্বপ্ন হয়ে আছে। বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ করা কার্তিকেরও ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা মুহূর্ত বললে হয়তো কম বলা হবে না।
পাঁচ বছর আগে ম্যাচ জেতানো সেই ইনিংসটাকে এখনো মনে রেখেছেন কার্তিক। আইপিএলের দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর একটি পডকাস্টে কার্তিক জানান সেই ম্যাচের অজানা গল্প।
ভারতের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার থেকে প্যাড পরে বসেছিলেন কার্তিক। তাকে প্যাড পরে অপেক্ষা করতে হয়েছিল অনেকটা সময়। যখনই তিনি ব্যাট করার জন্য অগ্রসর হচ্ছিলেন, ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা প্রতিবারই তাকে থামিয়ে দেন। মূলত রেখে দিয়েছিলেন শেষের ওভারগুলোর জন্য। কারণ রোহিত অনুমান করেছিলেন শেষের দিকে কার্তিকের অভিজ্ঞতা কাজে লাগতে পারে। কার্তিককে নিয়ে বাজি খেলে শেষ পর্যন্ত জিতেছিলেন রোহিত।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে করে আট উইকেটে ১৬৬ রানের পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভার থেকে প্যাড পরে ব্যাট করতে নামার জন্য তৈরি ছিলেন কার্তিক। ইনিংসের ১৮তম ওভার পর্যন্ত বসে থাকতে হয়েছিল তাকে। মনীষ পাণ্ডে আউট হওয়ায় ভারতের জয়ের জন্য সমীকরণ ছিল ২ ওভারে ৩৪ রান। সেই সময়ে ব্যাট হাতে নামেন কার্তিক।
পডকাস্টে বর্ষীয়ান এই উইকেটকিপার ব্যাটার বলেন, খেলার প্রথমার্ধ ঠিকই ছিল। আমাদের বোলাররা দারুণ বোলিং করে। দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ আমাদের থেকে এগিয়েছিল। ওরা প্রাধান্য দেখাচ্ছিল। একটা সময় এসেছিল যখন ২ ওভারে জেতার জন্য ভারতের দরকার ছিল ৩৪ রান। আমি দ্বিতীয় বা তৃতীয় ওভার থেকে প্যাড পরে বসেছিলাম। উইকেট পড়ার পরে আমি নামতে যাচ্ছিলাম, তখন রোহিত বলে এখনই নয়। ১৫তম ওভারে একটি উইকেট যাওয়ার পরে আমি নিশ্চিত ছিলাম, এবার হয়তো ব্যাট করতে নামবো।
রোহিত আবারও থামান কার্তিককে। তারপর মনীষ পাণ্ডে ১৮তম ওভারে আউট হয়ে গেলে তখন কার্তিক ব্যাট হাতে নেমে পড়েন। কার্তিক বলেন, ‘১৮তম ওভারে মনীষ পাণ্ডে আউট হলে আমি ব্যাট করতে নামি। হাতে মাত্র দু’ ওভার। দরকার ৩৪ রান। এই পরিস্থিতিতে সবাই বেশি সংখ্যক বলই খেলতে চায়। আমি শুরু থেকেই আক্রমণের রাস্তা বেছে নেই। ভক্তরাও নাগিন নাচ শুরু করে দেয়। ম্যাচটা আমরা জিতেছিলাম।’