রেস্তোরাঁয় নেইমারের ভোজ নিয়ে এমবাপের তোপ, যা বললেন কোচ

প্যারিসের ক্লাব পিএসজির প্রধান দুই তারকা নেইমার ও এমবাপের মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি বেশ পুরনো। যদিও তাদেরকে অনুশীলন, ড্রেসিংরুম শেয়ারসহ সব জায়গাতেই একত্রে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। এমনকি একজনের গোলে উচ্ছ্বসিত হন অন্যজনও। তবুও মাঠের বাইরে এলেই আবারও এমবাপের সঙ্গে নেইমারের দ্বৈরথটা ফুটে ওঠে। এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে দেখা যায় না ক্লাবের কোচ ক্রিস্তফ গ্যালতিয়েকে। সে কারণে কোচ নিজেও সমালোচিত। এবার সে প্রসঙ্গে তিনি মুখ খুলেছেন।

সম্প্রতি চ্যাম্পিয়নস লিগের বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচে বায়ার্নের কাছে হেরেছে ফরাসি জায়ান্টরা। এ নিয়ে দলটি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। একইসঙ্গে দ্বিতীয় লেগের নেতিবাচক ফলাফল এলে কোচ ও নেইমারের ক্লাব ছাড়ার শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।

এরই মধ্যে সম্প্রতি তাকে ম্যাকডোনাল্ডে বন্ধুদের সঙ্গে নৈশভোজে দেখা গেছে। এছাড়া পোকার টুর্নামেন্টের দর্শকসারিতেও ছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। ক্লাবের এমন দুঃস্বময়ে সেলেসাও তারকার এমন ফুর্তিভাব মেনে নিতে পারছেন না অনেক সমর্থকই। মেনে নিতে পারেননি এমবাপেও।

নেইমারকে উদ্দেশ্য করে এমবাপে বলেন, ‘ফিরতি লেগের আগে আমাদের খেলোয়াড়দের ভালো স্বাস্থ্যের প্রয়োজন। সেজন্য সবাইকে ভালো খাবার ও পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। পরবর্তী ম্যাচের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়নস লিগের পরের রাউন্ডে কোয়ালিফাই করতে আমাদের কাজ করতে হবে এবং সবাইকে ক্যাম্পে ফিরতে হবে।’

এমবাপের এই মন্তব্য নজর এড়ায়নি পিএসজি কোচ গ্যালতিয়ের। তিনি তার শিষ্যদের মাঝে আরও ম্যাচুরিটি এবং লকার রুম ও ড্রেসিংরুমে সংযত আচরণের প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি এমবাপের মন্তব্যের সঙ্গে একমত নই। আমি ইতোমধ্যে নেইমারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার চিন্তাভাবনার কথাও তাকে জানিয়েছি। ছুটির দিনে, যখন আমাদের অনুশীলন থাকে না; সে সময় যে কেউ পোকার খেলা কিংবা ঘুরতে যাওয়াসহ তাদের পছন্দের কাজ করার অধিকার রয়েছে। এ ব্যাপারে আমার মন্তব্য নিয়ে কেউ দ্বিধায় থাকার সুযোগ নেই।’

অনেকদিন ধরেই পিএসজিতে নেইমারের থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এমবাপেও বারবারই ক্লাব কর্তৃপক্ষকে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে ছেড়ে দিতে তাগাদা দিয়ে আসছে। পিএসজিও নেইমারকে ছেড়ে দিতে রাজি, তবে তাকে বেশি দামে কিনতে উপযুক্ত ক্লাব পাচ্ছে না তারা। সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছে, নেইমারকে কেনার ব্যাপারে ইংলিশ ক্লাব চেলসির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে পিএসজি মালিকের। আর এটি যদি সত্যি হয়, তাহলে এমবাপে ও ক্লাব দুপক্ষেরই এতে স্বস্তি পাওয়ার কথা!