তুরস্কে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত গাজিয়ানতেপে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) তাপমাত্রা মাইনাস ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। আর এমন তীব্র ঠাণ্ডার মধ্যে নিজেদের উষ্ণ রাখতে শিশুদের কাপড় ও পার্কের বেঞ্চ পোড়াচ্ছেন বাড়ি-ঘর হারানো সাধারণ মানুষ।
এছাড়া বাড়ি অক্ষত থাকলেও সেখানে ফিরে যাচ্ছেন না অনেকে। এর বদলে বাইরে তাঁবু অথবা গাড়িতে অবস্থান করছেন তারা।
গত সোমবার ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়ার বেশ কয়েকটি অঞ্চল। এটির প্রাণকেন্দ্র ছিল গাজিয়ানতেপ। সেখানকার বাসিন্দারা এখন তীব্র আতঙ্কে ভুগছেন।
তবে ঠাণ্ডার কারণে অনেকে তাঁবুর ভেতরও বসে থাকতে পারছেন না। এ কারণে শিশুদের কম্বলে জড়িয়ে হাঁটাহাঁটি করছেন অনেক বাবা-মা।
মালেক হালিসি নামে দুই বছর বয়সী এক শিশুর মা বলেছেন, ‘যখন আমরা বসে থাকি, এটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক। যারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ে আছেন তাদের জন্য খুবই ভয় পাচ্ছি।’
‘আমাকে তাঁবুর ভেতরই ফিরে যেতে হবে। কিন্তু আমি যেতে চাই না। আমি ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারছি না। কিন্তু আমি আবার আমার বাড়িতেও ফিরে যাওয়ার চিন্তা করতে পারছি না, বলেন মালেক হালিসি।’
আমাদের শিশুরা ঠাণ্ডায় জমে যাচ্ছে
মালেক হালিসির পরিবার যেখানে আছেন সেখানে আরও কিছু পরিবার অবস্থান করছেন। সাধারণ মানুষ যেন নিজেদের উষ্ণ রাখতে পারেন সেজন্য অনেকে পোড়ানোর কাঠ দিচ্ছেন।
এছাড়া সাধারণ মানুষ রাতে থাকার জন্য ব্যয়ামাগার, মসজিদ, স্কুল এবং কিছু দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। আর যাদের গাড়ি আছে তারা গাড়িতেই অবস্থান করছেন। এক্ষেত্রে নিজেদের উষ্ণ রাখার জন্য গাড়ির ইঞ্জিন চালু রাখতে হচ্ছে তাদের।
গাড়ির ভেতর বসে থাকা সুলেমান ইয়ানিক নামে এক বাবা বলেছেন, ‘আমার কাছে অন্য কোনো উপায় নেই। এখানে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কিন্তু আমরা বাড়িতে ফিরে যেতে পারব না।’
বুরহান কাগদাস নামে এক রেস্তোরাঁর ম্যানেজার জানিয়েছেন, সোমবার থেকেই নিজের গাড়িতে থাকছেন তিনি। পরিবারের আপত্তির কারণে আপাতত বাড়িতে যাচ্ছেন না। কিন্তু এভাবে কতদিন পার করবেন সেটি বুঝতে পারছেন না তিনি।